
Truth Of Bengal: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার সময় চরম বিশৃঙ্খলার ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে প্ল্যাকার্ড-পোস্টার ও বিক্ষোভের চেষ্টা করা হয়েছিল। দেশের বাইরে এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। শুরু থেকেই এই ঘটনার পিছনে বাম-বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। এবার সামনে এল বেশ কিছু ছবি।
এই ঘটনা যে বাম বিজেপির পূর্বপরিকল্পিত চক্রান্ত তা ওই ছবি সামনে আসতেই স্পষ্ট হয়েছে। যারা ওই দিনের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন তাদের রাজনৈতিক পরিচয় মিলেছে। তাদের মধ্যে কেউ সরাসরি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত কেউ বাম সংগঠনের। অক্সফোর্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতার সময় রাজ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন সুশীল ডকওয়াল নামে এক ব্যক্তি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যা বলেছেন যে টাটা বাংলায় বিনিয়োগ করছে, চিৎকার করে বলতে থাকেন। কয়েকজন এসএফআই সমর্থক যখন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে বারংবার বাধা দিচ্ছিলেন সেই সময় ওই ব্যক্তি চিৎকার করে ওঠেন। কে এই সুশীল ডকওয়াল? বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর। বিজেপির উত্তরীয় পরা ছবি। টিভি চ্যানেলে বসে বিজেপির হয়ে সওয়াল করার ছবি। জানা গিয়েছে, প্রবাসী ভারতীয় এই ব্যক্তি ওভারসিজ ফ্রেন্ডস অফ বিজেপির সক্রিয় সদস্য।
ওইদিন মুখ্যমন্ত্রীকে বক্তৃতা দিতে যারা বাধাদান করেছিলেন তাদের মধ্যে অনেকে পরিচয় জানা গিয়েছে। সুশীল ডকওয়াল গুজরাটের বাসিন্দা। এছাড়াও দিল্লির বাসিন্দা নুপুড় পাড়িওয়াল ও ব্যাঙ্গালোরের নিখিল ম্যাথু মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভব্য আচরণ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার সময় বিক্ষোভ দেখায় সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর ইউনাইটেড কিংডম শাখার সদস্যরা। এই ঘটনায় সুচিন্তন দাস নামে আরও একজনের নাম সামনে উঠে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সে দিনের অভব্য আচরণের মূল পান্ডা বলে অভিযোগ। আরবিইউ-এর ডিন ও অধ্যাপক তিনি।

এইসব ছবি সামনে আসার পর ষড়যন্ত্রের পর্দা ফাঁস হচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে কিভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেনস্থা করার জন্য পূর্বপরিকল্পিত ছক কষা হয়েছিল। নির্দিষ্ট প্ল্যানমাফিক মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা চলাকালীন সেখানে হট্টগোল শুরু করে তারা। মুখ্যমন্ত্রী বিরক্ত হয়ে মেজাজ হারান এমন পরিকল্পনা ছিল চক্রান্তকারীদের। বিদেশের মাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেনস্থা করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা চলাকালীন বিজেপি ও এসএফআইয়ের অভব্য আচরণ। যারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে দলীয় ও ব্যক্তি আক্রোশ মেটাতে চাইল তারা একবারও কি ভেবে দেখেছে আদতে তা দেশের অসম্মান? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা করার জন্য আমন্ত্রণ পান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী হিসাবে নয়।
ভারতের একটি অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর ওই আমন্ত্রণ পাওয়া গোটা দেশের কাছে গর্বের। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনক্রমে ভারতীয় প্রতিনিধি হিসেবে তিনি অক্সফোর্ডে বক্তৃতা করেন। সেই বক্তৃতা চলাকালীন যেভাবে বামপন্থী কিছু সমর্থক মুখ্যমন্ত্রীকে অপদস্থ করার চেষ্টা করেন আদতে যে তারা দেশের শত্রু তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ ব্রিটেনে ভারতীয় প্রতিনিধি হিসেবে বক্তৃতা করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদেশের মাটিতে একজন ভারতীয় প্রশাসনিক প্রধানকে অসম্মান করার অর্থ দেশকে অসম্মান করা।
হাইলাইট-
অক্সফোর্ডে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার সময় হট্টগোল
পর্দাফাঁস বাম ও বিজেপির সংকীর্ণ রাজনীতির
বক্তৃতায় বাধাদানে যুক্তরা এসএফআই সমর্থক
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সুশীল ডকওয়াল বিজেপি
গলায় বিজেপির উত্তরীয় পরা ছবি এল প্রকাশ্যে
মুখ্যমন্ত্রীকে হেনস্থা করায় ছিল তাদের উদ্দেশ্য
বিশৃঙ্খলাকারীদের কীর্তিতে অসম্মানিত দেশ