সম্পাদকীয়

সুপ্রিম কোর্টের পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসনীয়

The Supreme Court's move is truly commendable.

Truth Of Bengal: দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির বাড়িতে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় দেশজুড়ে শোরগোল পড়েছে। এই ঘটনায় চুপ নেই সুপ্রিম কোর্ট। বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তদন্ত রিপোর্ট সামনে আনা হল। সেই সঙ্গে ওয়েব সাইটে আপলোড করা হয়েছে টাকা উদ্ধারের ভিডিয়ো। দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং দিল্লি পুলিশের কমিশনার সঞ্জয় আরোরা ওই ছবি সংগ্রহ করেন।

তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই কলেজিয়ামের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই রিপোর্ট আপলোড এবং ছবি আপলোড করা হয় শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইটে। বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে রিপোর্ট প্রকাশের সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে কলেজিয়াম সূত্রে। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির বাড়ি থেকে হিসাব বহির্ভূত টাকা উদ্ধারের কথা পৌঁছে যায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার কাছে। জাস্টিস খান্না বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখে দ্রুত কলেজিয়ামের সভা ডাকেন।

বৈঠকে কলেজিয়াম সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয় বিচারপতি যশবন্ত বর্মাকে অবিলম্বে বদলি করা হোক। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিচারপতিকে দিল্লি হাই কোর্ট থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলি করা হয়। ২০২১ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকে দিল্লি হাইকোর্টে বদলি হয়েছিলেন বিচারপতি যশবন্ত বর্মা। বিচারপতি যশবন্ত বর্মা যদিও অভিযোগ অস্বীকার করছেন।

এই ভিডিয়ো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভিডিয়োটির বিষয়বস্তু দেখে আমি স্তম্ভিত। যা দেখানো হয়েছে, তা ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া যায়নি। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে, আমাকে কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্র এটা।’ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে যে ২৫ পাতার রিপোর্ট আপলোড করা হয়েছে, তারই অংশ ওই ভিডিয়ো। দিল্লির পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরা এবং হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সেই ভিডিয়ো প্রকাশ করেন।

ফলে এই ভিডিয়োর সত্যতা নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। প্রশ্ন উঠছে, একজন সাধারণ মানুষের বাড়ি থেকে এত টাকা উদ্ধার হলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হতো? সেই একই ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না এক্ষেত্রে? সাধারণ ভাবে এই যে প্রশ্নটি উঠছে সেটি ভেবেই নানা পদক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। টাকা উদ্ধারের ভিডিয়ো আপলোড করা তারই অঙ্গ।

Related Articles