ভাগাড়ে ধস নামায় বিপত্তি, পুনর্বাসন দিতে চায় রাজ্য সরকার
Landslide in Bhagad creates disaster, state government wants to provide rehabilitation

Truth Of Bengal: ভাগাড়ে ধস নামায় ফেটে যায় উত্তর হওড়ার জল সরবরাহের মূল পাইপলাইন। যার জন্য উত্তর হাওড়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্ধ হয়ে পড়ে জল সরবরাহ। পাশে দাঁড়িয়েছে কলকাতা ও উত্তরপাড়া পুরসভা। সোমবার বেলগাছিয়া পরিদর্শন করেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ হাকিম আশ্বাস দেন,ভাগাড় এলাকায় যাঁরা বাস করছেন,তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। রাজ্য প্রশাসন সর্বোতভাবে পাশে থাকায় স্বস্তি পান এলাকাবাসী।
১৯ মার্চ হাওড়ার বেলগাছিয়ার ভাগাড়ে ধস নামে। ভাগাড়ে ধস নামার জন্য ফেটে যায় জল সরবরাহের মূল পাইপলাইন। ফলে উত্তর হাওড়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্ধ হয়ে যায় জল সরবরাহ। সংকটের মুখে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। পাশে দাঁড়ায় কলকাতা ও উত্তরপাড়া পুরসভা। পাঠানো হয় ‘নির্জলা’ জলের ট্যাঙ্কার।এদিকে, ভাগাড়ের ধসের ফলে ফাটল ধরে ওই এলাকার প্রায় দেড় বর্গ কিলোমিটার রাস্তায়।
শনিবারই শিবপুর-সহ হাওড়ার একাংশে জল সরবরাহের কাজ শুরু হয়। এরপর কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার যৌথ উদ্যোগে রবিবার সন্ধ্যের মধ্যে গোটা হাওড়া এলাকায় জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পুরও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
তিনি আশ্বস্ত করেন, এই অঞ্চলের মানুষের সুবির্ধার্থে তৈরি করে দেওয়া হবে বাড়ি। ভাগাড় সরিয়ে পুনর্বাসনের পরিকল্পনার কথা জানান মন্ত্রী। প্রশাসনিক স্তরে সেজন্য শুরু হয়েছে সমীক্ষা।কেন্দ্র অর্থ না দেওয়ায় রাজ্য সরকার নিজের তহবিল থেকে এই ব্যবস্থা করবে বলেও জানান ফিরহাদ হাকিম।
বহু বছর ধরে জমে থাকা ভাগাড় সরানোর কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এখানকার মাটি একেবারেই ব্যবহারযোগ্য নয়। সোমবার সারাদিন জুড়ে ওই এলাকায় সার্ভে চলে।এরপর পুর ও নগরন্নয়ন দফতরে বৈঠক বসে ঠিক করবে—ভাগাড় থেকে সরিয়ে কোথায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।এ বিষয়ে পুর ও নগরন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আরও জানান, “এখানে পুরো অঞ্চলটাই ভাগাড়, এখানে কোনও মাটি নেই। মানুষ অবৈধভাবে বসতি গড়ে তুলেছিল।
তাই খালি জমি চিহ্নিত করে, সেখানেই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।’’পাশাপাশি, কেএমডিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, বিপজ্জনক অঞ্চলগুলিতে অবিলম্বে শিট পাইলিংয়ের কাজ শুরু হবে। যেসব এলাকায় বর্জ্য জমা হয়েছে, সেগুলি ট্রাকে করে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে প্রসেসিং-এর ব্যবস্থা করা হবে। যেখানে জায়গা ফাঁকা হবে, আগামী দু’মাসের মধ্যে সেখানে প্রসেসিং ইউনিট গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ফিরহাদ হাকিম জানান, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের কাজও শুরু করবে কেএমডিএ।