হাসপাতালের রোগীদের নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে ‘প্রতারণা’! তৎপর প্রশাসন
'Fraud' by taking hospital patients to nursing homes! Administration on alert

Truth Of Bengal: মালদা মেডিক্যাল কলেজের রেফার করা রোগীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নার্সিংহোমে। মোটা টাকা মুনাফার লোভে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা এই কাজে যুক্ত। আরও অভিযোগ, চক্রে জড়িত রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স চালকও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। দুষ্ট চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে তৎপর প্রশাসন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর এই বেআইনি ব্যবসার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে চায়।
ও কথার মারপ্যাঁচে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা মালদা মেডিক্যাল কলেজের রোগীদের ভুলিয়ে নিয়ে যাচ্ছে নার্সিংহোমে। যার জন্য দুঃস্থ-গরিব রোগীদের সর্বসান্ত হওয়ার জোগাড়। কারণ, সরকারি হাসপাতালে গেলে যেখানে বিনা পয়সায় পরিষেবা মেলে সেখানে নার্সিংহোমে মোটা টাকা লাগে।
তাই নার্সিংহোমের সঙ্গে সমঝোতা করে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা এই বেআইনি কারবার ফাঁদছে বলে অভিযোগ। মোটা টাকা আয়ের লোভে এই অবৈধ কারবার কেন চলছে তা নিয়ে রোগীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। গাজোল থানার আলাল পাহাড়ি ভিটা এলাকার বাসিন্দা কুমার কোরা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে ১৭ তারিখ গাজোল হাসপাতালে ভর্তি হন।
এরপর তঁকে সেখান থেকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। অভিযোগ, যে অ্যাম্বুলেন্স করে ওই রোগীকে নিয়ে আসা হচ্ছিল সেই চালক পরিবারের সদস্যদের মালদা মেডিকেল কলেজে ট্রিটমেন্ট হয় না ভুল বুঝিয়ে মালদা শহরের আম বাজার এলাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যায়।
এরপর সেখানে কার্যত ওই রোগীকে আটকে রেখে স্বাস্থ্যের নামে ব্যবসা শুরু করে সেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ,এমনটাই অভিযোগ। প্রায় এক লক্ষ টাকার ওপর বিল করা হয়। নার্সিংহোম অবশ্য এই বিষয়ে সাফাই দিচ্ছে। ম্যানেজারের ওপর দায় ছেড়ে দায়িত্ব সারতে চাইছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
খবর পেয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই রোগীকে উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। সেই সঙ্গে ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সরকারি হাসপাতালে না গিয়ে নার্সিংহোমে রোগী ভর্তি করার এই ফন্দি ধরা পড়ার পর প্রশাসন কঠোর মনোভাব নিয়েছে। প্রশাসন কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তত্পর। রোগীকে ভর্তি করা হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজে। রোগীর অবস্থা ক্রিটিক্যাল হওয়ায় তাঁকে নজরে রেখেছেন চিকিত্সকরা।