আগামীর বিপদ, এখনই ভাবা উচিত দেশের
The country should think about the dangers of the future now.

Truth Of Bengal: বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের অবস্থান এখন অনেক খারাপ জায়গায়। সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। দেশের বিরাট অংশের মানুষ এখনও পেট ভরে খেতে পায় না। সেই ভারতে এখন বিরাট সমস্যা স্থূলতা। একসময় পশ্চিম বিশ্বের যেটা বড় সমস্যা ছিল, সেটা এখন ভারতের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, স্থূলতা দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে এবং ভারতে।
গত কয়েক বছরে স্থূলতার দিক থেকে ভারত শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। যা মোটেই গর্বিত হওয়ার বিষয় নয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার দিশা দেখালেন শিবসেনার এক সাংসদ। বন্ধ হোক চর্বি ও শর্করা, যুক্ত খাবারের বিজ্ঞাপন, সংসদে এমনই আবেদন করছেন শিব সেনার রাজ্যসভার সাংসদ মিলিন্দ দেওয়া। তাঁর বক্তব্য, আগামী দিনে স্থূলতা বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় যার প্রভাব পড়তে পারে মারাত্মক। গণমাধ্যমে খাবার ও পানীয়ের বেশিরভাগ বিজ্ঞাপনে এমন পণ্য দেখানো হয় যাতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, চিনি বা লবণ বেশি মাত্রায় থাকে এবং সেগুলি উচ্চ প্রক্রিয়াজাত। দেখা গিয়েছে বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে মানুষ এগুলি বেশি গ্রহণ করে। বাদিন ধরে এই ধরনের খাবার খাওয়ার পরিণতি কী হতে পারে সেটা এখন দেখা যাচ্ছে। স্থূলতা এখন ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। লতা কমাতে বা লাগাম টানতে সরকারকে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।
এই বিষয়ে শিবসেনা সাংসদের দাবি, ফ্যাট এবং সুগার সমৃদ্ধ খাবারের বিজ্ঞাপন পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে গত পাঁচ বছরে পুরুষদের মধ্যে স্থূলতা ১৯ থেকে বেড়ে ২৩ শতাংশ হয়েছে। মহিলাদের মধ্যেও এই প্রবণতা মারাত্মক। স্থূলতা বেড়ে হয়েছে ২১ থেকে ২৪ শতাংশ। ১০ বছরে শিশুর সংখ্যাটা ৬০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
শিবসেনা সাংসদ আশঙ্কাপ্রকাশ করে বলেন, ‘২০৩০ সাল নাগাদ এই স্থূলতা জন্য আমাদের জিডিপি-র ১.৬ শতাংশ অর্থাৎ ৭ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হয়ে যেতে পারে। এখনই লাগাম টানা না গেলে দেশের আর্থিক উন্নতিতে বিরাট প্রভাব পড়বে। একদিকে দেশের বহু মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে,’ অন্যদিকে সেই দেশে এখন আবার বিরাট অংশের মানুষ স্থূলতার শিকার। এই দুটি সমস্যাই গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত।