সম্পাদকীয়

বাংলাকে অসম্মান করার হীন প্রয়াস

A despicable attempt to disrespect Bengal.

Truth Of Bengal: চলছিল কুৎসা ও অপপ্রচার। মুখ্যমন্ত্রীকে হেয় করতে গিয়ে পরিকল্পিত ভাবে বাংলার বদনাম করা হচ্ছিল। এটা যে একটা চক্রান্ত তা সাফ হয়ে গেল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালযয়ের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে যে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে তাতে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য জোনাথন মিচি, যিনি আবার কেলগ কলেজের প্রেসিডেন্ট, তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো আমন্ত্রণমূলক চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আপনাকে আমার অক্সফোর্ড কলেজ পরিদর্শনের জন্য এবং আমাদের ফেলো এবং অন্যান্য কলেজ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

সেখানে আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর আপনার বক্তব্য জানার সুযোগ পাব। শাসনব্যবস্থায় আপনার বিশাল অভিজ্ঞতা এবং পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণ ও অগ্রগতির প্রতি আপনার প্রতিশ্রুতি ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে এবং আমরা বিশ্বাস করি যে আপনার অন্তর্দৃষ্টি আমাদের শিক্ষণের জন্য অমূল্য হবে।’

অর্থাৎ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জোনাথন মিচি মুখ্যমন্ত্রীকে যে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন, তাতে সাফ বলা আছে মুখ্যমন্ত্রীকে অক্সফোর্ড কলেজ পরিদর্শন এবং সেখানে বক্তব্য রাখার কথা। তা সত্ত্বেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে হেয় করার জন্য কোনও কোনও মহল তৎপর। রং চড়িয়ে নানা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। যা আদতে সঠিক নয়।

আসলে মুখ্যমন্ত্রী বিদেশে হলে বাংলার কিছু রাজনৈতিক দল সহ্য করতে পারে না। সেই জন্য সামাজিক মাধ্যমের পাশাপাশি দুই একটি সংবাদ মাধ্যমে সেই সম্পর্কে নেতিবাচক নানা কথা প্রচার হয়। আসলে মুখ্যমন্ত্রীকে হেয় করতে গিয়ে এই ভাবে যে বাংলার অসম্মান হয়, তা জেনেও সেটা তারা করে।

দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতে যখন মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে সম্মানিত হচ্ছে বাংলা, তখন সেই বিষয়টিকে ইতিবাচক ভঙ্গিতে দেখার বদলে নানা ব্যঙ্গাত্মক প্রচার হচ্ছে। বলা হচ্ছে সম্পূর্ণ মিথ্যা। যদিও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তরফে পাঠানো আমন্ত্রণ মূলক চিঠিতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীকে কেন তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা কী হবে। এরপরও কি বিরোধীদের এই কুৎসা-অপপ্রচার জারি থাকবে? যদি সেটাই হয় তা হলে তাতে তাদের দৈন্যতা প্রকাশ হবে।

Related Articles