কলকাতা

ট্যাংরা কাণ্ডের পুনর্নির্মাণ

Reconstruction of the Tangra trunk

Truth Of Bengal: বুধবার ট্যাংরা কাণ্ডের পুনর্নির্মাণ করা হবে। ট্যাংরার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে প্রসূন দেকে। নিজের মেয়েকে শেষ করেছেন মা-বাবা মিলেই! ট্যাংরাকাণ্ডে প্রসূনের ভয়াবহ বর্ণনা।

সোমবার রাতে গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন প্রসূণ। পাশাপাশি তাঁকে আদালতে তোলা হলে কোনও আইনজীবী নিতে চাননি তিনি। বিচারপতি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনি আইনজীবী নিতে চাননি, কিছু বলতে চান?’ সেই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে চুপ থাকেন প্রসূণ। এজলাসে সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘উনি উকিল চান না। বিচার প্রক্রিয়ায় একাই থাকতে চান। পুলিশ চার্জশিট পেশ করলে তিনি অপরাধ স্বীকার করবেন বলে জানিয়েছেন।’ পরে প্রসূন জানান, তাঁর আর বাঁচার ইচ্ছে নেই।

আরও জানা যায়, ট্যাংরা-কাণ্ডে প্রসূণ দে আগেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তিনি নিজের ১৪ বছরের কন্যা প্রিয়ম্বদা, স্ত্রী রোমি দে এবং বৌদি সুদেষ্ণা দে-কে খুন করেছেন। সেই সঙ্গে নিজের সম্পর্কে তিনি বলেছেন তাঁর বেঁচে থাকার ইচ্ছা নেই। তবুও তার এই সকল স্বীকারোক্তির পরও কোথাও যেন কিন্তু ছিল পুলিশের মনে। আদতে প্রসুন সব সত্যি কথা বলছেন। সেই সকল উত্তর খুঁজে পেতে বুধবার এই ঘটনার    পুনর্নির্মাণ করা হয়। আরও তথ্য পেতে বুধবার ধৃত প্রসূন দে-কে অটল শূর রোডের বাড়িতে নিয়ে আসা হবে বলে এমনটাই জানা যায়।

সোমবার রাতে প্রসূনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর গ্রেফতার করে পুলিশ। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রণয় দে এবং প্রণয়ের কিশোর পুত্র। মঙ্গলবার প্রসূনকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঘটনা সম্পর্কে প্রসূন ইতিমধ্যেই পুলিশকে নাকি জানিয়েছেন, স্ত্রী রোমি তাঁর মেয়ের পা চেপে ধরেছিলেন এবং তিনি তাঁর মুখে বালিশ চেপে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। তারপর স্ত্রী রোমি এবং বউদি সুদেষ্ণাকেও তিনি খুন করেছিলেন। তিনি কতটা সত্যি বলছেন তা জানতে দাদা প্রণয়কে তাঁর মুখোমুখি বসিয়ে জেরার ভাবনা রয়েছে পুলিশের।

উল্লেখ্য, প্রসূন আগেই দাবি করেছেন, তিন জনকে খুনের পরে তিনি দাদার ছেলে নিয়ে আসেন প্রিয়ম্বদার ঘরে। তাঁর দাবি, ওই ঘরেই সেই নাবালকের হাত কাটা হয় বলে। এরপরও প্রসূন নিজের হাত কেটে ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ঘুম থেকে ওঠেন। কয়েক ঘণ্টা পর রাতে দাদা প্রণয় ও তাঁর ছেলেকে সঙ্গে গাড়িতে চেপে প্রসূন বেরিয়ে গিয়েছিলেন বাড়ি থেকে।

১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে মেট্রোর একটি পিলারে ধাক্কা মারে তাঁদের গাড়ি। হাসপাতালে প্রণয় এবং প্রসূণ দাবি করেছিলেন, আত্মহত্যা করার জন্য এই পথ বেছে নিয়েছিলেন তাঁরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রণয়ের বয়ানও খতিয়ে দেখতে চায় পুলিশ। সুস্থ হয়ে ছাড়া হলে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হতে পারে বলে পুলশী সূত্রে জানা গিয়েছে। তখন বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে পুলিশের কাছে।

Related Articles