খেলা

ব্যর্থতার সরণীতে রোহিত, জয় দিয়ে সিরিজ শুরু ভারতের

Rohit fails again, India starts series with victory

Truth Of Bengal : বিরাটের না থাকা, রোহিতের ফের ব্যর্থতা, সব কিছু ঢেকে দিলেন পঞ্জাব পুত্তর শুভমন গিল। ব্যাট হাতে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন শ্রেয়স ও অক্ষর। পাশাপাশি ভারতীয় বোলারদের কথাও অবশ্যই বলতে হবে। সব মিলিয়ে জয় দিয়েই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ শুরু গৌতির ছাত্রদের।

দিনের শুরুতেই জানা গেল হাঁটুতে চোটের জন্য ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম ম্যাচে খেলবেন না বিরাট কোহলি। এরপর বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিং নিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। মেন ইন ব্লুজ ক্যাপে এদিন ৫০ ওভারের ক্রিকেটে অভিষেক হল যশস্বী জয়সওয়াল ও হর্ষিত রাণার। যশস্বীর শুরুটা ভাল না হলেও অভিষেক ম্যাচকে রাঙিয়ে তুললেন কেকেআর পেসার হর্ষিত। এর আগে টেস্ট ও টি-২০ অভিষেকে নিয়েছিলেন তিন উইকেট। সেই ধারা বজায় রেখে ওডিআই অভিষেকেও পকেটে পুড়লেন তিন উইকেট। প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসাবে তিনিই প্রথম তিন সংস্করণে এই কৃতিত্ব গড়লেন।

এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু সকালটা ভাল হলেও শেষটা সেরকম হল না। ভারতীয় বোলারদের আঁটসাঁট বোলিং বিশেষ করে হর্ষিত ও রবীন্দ্র জাদেজার সামনে আটকে গেল ইংল্যান্ড। দু’জনেই নিলেন ৩টি করে উইকেট। চোট সারিয়ে বহুদিন পর ওডিআই ফরম্যাটে ফিরে মহম্মদ শামিও বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর এখনও দেওয়ার কিছু বাকি আছে। ব্রেন্ডন কার্সেকে ফেরালেন তিনি।

ইনিংসের শুরুতে সল্ট-ডাকেটরা যে ঝড় তুলেছিলেন, তা ধোপে টিকল না। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ইনিংস থামল ২৪৮ রানে।

প্রথম দিকে ঝোড়ো শুরু করেছিলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও বেন ডাকেট। দুজনের জুটিতে ৯ ওভারের মধ্যে উঠে যায় ৭৫ রান। কিন্তু রান আউট হয়ে ফেরেন সল্ট (৪৩)। তারপরই ইংল্যান্ডকে ধাক্কা দেন হর্ষিত। ৩২ রানের মাথায় ফিরিয়ে দেন ডাকেটকে। সেখান থেকে ইংল্যান্ডের ফেরার কাজটা আরও কঠিন হয়ে যায় শামি-জাদেজার বোলিংয়ে।

২০২৩-র বিশ্বকাপের পর ফের ওয়ানডে ক্রিকেটে নামলেন শামি। মাঝে কেটে গিয়েছে ১৪টা মাস। শামির বোলিং দেখে সেটা অবশ্য মনে হল না। সেই চেনা সুইং, চেনা সিম পজিশন। ৮ ওভারে দিলেন মাত্র ৩৮ রান। সঙ্গে একটি মেডেন। মাঝে হর্ষিত ফেরালেন হ্যারি ব্রুক ও লিয়াম লিভিংস্টোনকে। জো রুট, হাফসেঞ্চুরি করা জেকব বেথেল, আদিল রাশিদের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন জাদেজা। অন্যদিকে জস বাটলার ফিরলেন অক্ষরের বলে। অবশ্য হাফসেঞ্চুরি করলেন ইংরেজ অধিনায়ক। একটি উইকেট কুলদীপ যাদবের।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯ রানেই পতন হয় ভারতের প্রথম উইকেটের। অভিষেক ম্যাচে ১৫ রান করে ফেরেন যশস্বী। ব্যর্থতার সরণী থেকে বেরোতে পারলেন না অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। মাত্র ২ রান করে শাকিব মাহমুদের শিকার হন তিনি। ১৯ রানেই দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয় ভারতের। এরপর শ্রেয়স আয়ারকে নিয়ে ইনিংস মেরামতির কাজ শুরু করেন সহঅধিনায়ক শুভমন গিল। মারমুখী শ্রেয়স মাত্র ৩০ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন। এরপর অবশ্য তাঁর ইনিংস বেশিক্ষণ দীর্ঘায়িত হয়নি। ৩৬ বলে ৫৯ রান করে আউট হন শ্রেয়স। ১১১ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন হয়। তাতে অবশ্য অসুবিধা হয়নি ভারতের। অক্ষরকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস টানতে থাকেন শুভমন। ২৯ ওভারে ভারত ২০০ রান পার করে আর কোনও উইকেট না হারিয়ে। এরপর অক্ষর আউট হন ৪৭ বলে ৫২ রান করে। দলের রান তখন ২২১। এরপর লোকেশ রাহুল ২ রান করে আদিল রশিদের শিকার। দলীয় ২৩৫ রানে মাহমুদের বলে বাটলারের হাতে ক্যাচ তুলে ফিরে যান গিল (৯৬ বলে ৮৭)। তাতে অবশ্য ভারতের জয় আটকায়নি। রবীন্দ্র জাদেজা ও হার্দিক পান্ডিয়া ৩৮.৪ ওভারেই দলকে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত জয়। ৪ উইকেটে জিতে সিরিজে এগিয় গেল ভারত।

Related Articles