সম্পাদকীয়

এমন শিক্ষক থাকতে পারেন কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে?

Can such a teacher be found in any educational institution?

Truth Of Bengal: অনেক সময় তারিখের একটু এদিন-ওদিক হয়ে গেলে রাস্তাঘাটে আচমকা পিরিয়ডস শুরু হয়ে যায়। তখন সমস্যায় পড়তে হয় মেয়েদের। এমন পরিস্থিতিতে পরিচিত জায়গা অর্থাৎ কর্মক্ষেত্র বা স্কুল-কলেজ কোনও সমস্যা হবে না বলে মনে করা হয়। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে যা ঘটেছে তাতে ধারণা বদলে গেল সবার। একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা চলাকালীন এক ছাত্রীর পিরিয়ডস শুরু হয়।

সে প্রধান শিক্ষিকের থেকে একটি প্যাড চেয়েছিল। প্যাড তো দেওয়া হয়নি। উল্টে ওই ছাত্রীকে ক্লাসরুম থেকে বের করা দেওয়া হয়। পরীক্ষা চলাকালীন ক্লাসের বাইরে এক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে। যোগীরাজ্যের স্কুলের এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলা স্কুল পরীক্ষক দফতর।  ন্যক্কারজনক সেই ঘটনা সামনে আসার পর নিন্দার ঝড় উঠেছে। প্রধান শিক্ষকের চূড়ান্ত শাস্তি দাবি উঠছে সব মহল থেকে।

মেয়েটির বাবা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে পরীক্ষার জন্য স্কুলে গিয়েছিল, যখন সে বুঝতে পারে তার ঋতুস্রাব শুরু হয়ে গিয়েছে, তখন প্রধান শিক্ষকের কাছে সে স্যানিটারি প্যাড চেয়েছিল। তাকে সাহায্যের পরিবর্তে দুর্ব্যবহার করা হয়। ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয় এবং প্রায় এক ঘণ্টা বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। গত বছর, বোর্ড পরীক্ষার আগে শিক্ষা মন্ত্রক একটি পরামর্শ জারি করে জানিয়েছিল, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার সময় মেয়েদের জন্য নির্ধারিত বিশ্রামাগারে বিরতি নিতে দেওয়া উচিত। সমস্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করতে হবে। এই পরামর্শটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সমস্ত স্কুল, সিবিএসই বোর্ড, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের জন্য প্রযোজ্য ছিল। এই ঘটনায় দেখা গেল সেই নির্দেশ চূড়ান্ত লঙ্ঘন হয়েছে। উনি শিক্ষক হওয়ার জন্য কতটা যোগ্য তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।

Related Articles