ওপার বাংলা

বহুবার হত্যার ষড়যন্ত্র! কিভাবে প্রাণ হাতে নিয়ে ভারতে এলেন শেখ হাসিনা? শুনুন……

Conspiracy to kill multiple times! How did Sheikh Hasina come to India with her life in her hands? Listen......

Truth Of Bengal: গণ অভ্যুত্থানের সময়ই যেতে পারতো প্রাণ। মাত্র ২০ থেকে ২৫ মিনিটের ব্যবধান। কোনোরকমে প্রাণ হাতে নিয়ে দিল্লি চলে আসেন মুজিবকন্যা। সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিল্লি থেকেই দিলেন অডিও বার্তা। ‘গণ অভ্যুত্থানে’ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল বাংলাদেশে। তালিকায় নাম ছিল বোন শেখ রেহানারও।  এমনকি ২০০৪ সালে মুজিবকন্যার ওপর গ্রেনেড হামলা-সহ বহুবার হামলার ষড়যন্ত্রের কথাও বলেন তিনি।

হাসিনার দেওয়া অডিও বার্তা শেয়ার করা হয়েছে, আওয়ামি লিগের ফেসবুক পেজ থেকে। সেই অডিওতে হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ”মাত্র ২০-২৫ মিনিটের ব্যবধানে আমি আর আমার বোন রেহানা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসি। না হলে ওরা আমাদের হত্যা করত। এর আগে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমার উপর গ্রেনেড হামলা হয়। কিন্তু আল্লা আমাকে রক্ষা করেন। আমার হয়তো অনেক কিছু করার বাকি ছিল তাই আমি ফিরে আসি। এরপর কোটালিপাড়ায় বোমা বিস্ফোরণের ছক কষা হয়েছিল। সেখান থেকেও আমি বেঁচে ফিরি। তারপর আমাকে মেরে ফেলার বহু চক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু আল্লার দয়ায় আজ আমি জীবিত। কিন্তু দেশে আমের বাড়ি-ঘর সব পুড়িয়ে দিয়েছে ওরা।” নিজের জীবনের নানা ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা বলতে বলতে চোখে জল চলে আসে হাসিনার।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। সূত্রের খবর,  ৫ অগাস্ট মাত্র ৪৫ মিনিটের নোটিসেই নাকি বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হন মুজিবকন্যা। জাতির উদ্দেশে ‘শেষ বার্তা’ দেওয়ার অনুমতি পর্যন্ত পাননি তিনি। কারণ ততক্ষণে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ‘গণভবনে’র দিকে রওনা দিয়েছে উন্মত্ত জনতা। কার্যত প্রাণ বাঁচাতে সেদিন কোনোরকমে বোন রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়েন হাসিনা। তবে

এই মুহূর্তে তাঁর প্রত্যর্পন নিয়েই দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে টানাপড়েন তুঙ্গে। কারণ হাসিনার বিরুদ্ধে দুটি গণহত্যার মামলা-সহ শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইবুন্যাল। হাসিনাকে ফেরত চেয়ে দিল্লিতে চিঠি পাঠায় মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনার ভিসা বাতিল করে দেয় ঢাকা। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দিল্লিতে থাকার মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় ভারত।

Related Articles