রাজ্যের খবর

রুগ্ন ইস্কো কারখানাকে চাঙ্গা করেছিলেন মনমোহন সিং, তাঁর প্রয়াণে শোকাহত কর্মীরা

The ailing Isco factory was revived by Manmohan Singh, whose workers mourned his demise

Truth Of Bengal: অর্থনীতির বাস্তব হিসেব তিনি ভালো বুঝতেন। বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে ভারতের শিল্প-বাণিজ্যকে বাস্তবতার আয়নায় দেখেন। অনেকেই তাই তাঁকে অর্থনীতির   স্থপতি বলেও সম্বোধন করেন।রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থার ঝাড়াইবাছাই করে যেগুলো বাঁচানো দরকার,সেগুলোকে বাঁচানোর ওষুধ প্রয়োগ করেন মনমোহন সিং। ইউপিএ আমলে পুণরুজ্জীবনের সেই প্যাকেজে একসময় ঘুরে দাঁড়ায় ইস্কো।বার্ণপুরের ফারনেস দিয়ে উড়তে শুরু করে ধোঁয়া। ২০০৬সালে বার্ণপুর ইস্কো কারখানা জুড়ে যায় আইএসপির সঙ্গে।১৮হাজার কোটি টাকার আধুনিকীকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান উজ্জীবিত হয়।কর্মস্থল চাঙ্গা হওয়ায় কাজের পরিবেশ আলাদা গতি পায়। পিছনে ফিরে সেই অতীত স্মরণ করে মনমোহনের অবদানকে বললেন ভোলার নয়, ভুলবেন কোনও দিন। শ্রমিকসমাজের কাছে তাই মনমোহনের প্রয়াণ,আত্মার আত্মীয় বিয়োগ।

মনমোহন সিংয়ের হাত ধরেই পুনরজ্জীবন পেয়েছিল বার্নপুর ইসকো কারখানার। দীর্ঘ রুগ্নদশা কাটিয়ে আধুনিকীকরণ হয়েছিল দেশের অন্যতম প্রাচীন ইস্পাত কারখানা। বার্নপুর ইস্কো কারখানা জুড়ে যায় সেইল আইএসপির সঙ্গে। ১৮ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করা হয় ইস্কো আধুনিকীকরণে।

কারখানার এই বিরাট আধুনিকীকরনের বীজরোপন করে দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডক্টর মনমোহন সিং। তাই তাঁর প্রয়াণ দিবসে স্মৃতির স্মরণি দিয়ে লড়াইয়ের কথাও তুলে ধরেন  কারখানার শ্রমিক সংগঠন ও প্রাক্তন কর্মীরা। বার বার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি।

Related Articles