বকখালি বাঁচাতে বাংলার সরকারের নতুন পরিকল্পনা
Bengal government's new plan to save Bakkhali

Truth Of Bengal: ৪০০মিটার নদী বাঁধে ধস নেমেছে ফেজারগঞ্জে। তাই প্রশাসন ফেজারগঞ্জ এলাকায় প্রায় ৪০০মিটার নদী বাঁধ তৈরির কাজ শুরু করেছে যুদ্ধকালীন তত্পরতায়। ব্যাবহার করা হচ্ছে জাপানি মডেল। টেট্রা ব্লগ বানিয়ে নদী বাঁধকে সুরক্ষিত করার প্রয়াস নজরে আসছে। কেন্দ্র নদীবাঁধ রক্ষায় হাত গুটিয়ে থাকায় পর্যটনের অন্যতম জনপ্রিয় স্পট কাকদ্বীপকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসন সবধরণের উদ্যোগ নিয়েছে।
দিঘা-মন্দারমনির মতোই বাঙালির পর্যটন মানচিত্রে বড় জায়গা করে নিয়েছে ফেজারগঞ্জ। কার্যতঃ ফেজারগঞ্জ হয়ে উঠেছে, বাঙালির নস্টালজিয়া। কিন্তু সেই ফেজারগঞ্জ এলাকায় প্রায় ৪০০মিটার নদী বাঁধে ধস নামায় বিপত্তি হয়।নদী বাঁধ বেহাল হয়ে পড়ায় মানুষের বিপদ হয়। ফেজারগঞ্জের থানাঘাট থেকে হাতিকন্না পর্যন্ত দীর্ঘ এলাকায় রাক্ষুসে নদী গিলে খাচ্ছে পার। তারজন্য কোথাও ফাটল দেখা দিয়েছে, কোথাও আবার নদীবাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই জল বাড়লেই আশঙ্কা বাড়ে। কখন যে কী হয়। আতঙ্কিত বাসিন্দাদের কথা ভেবেও বকখালির মতো পর্যটনের সম্ভাবনাময় জায়গাকে বাঁচাতে প্রশাসন নদীবাঁধ সংস্কারে হাত লাগাল। এই অবস্থায় নদীবাঁধ শক্তিশালী করার কাজ জোরকদমে শুরু করার প্রস্ততি নিচ্ছে প্রশাসন। সেজন্য ব্যাবহার করা হচ্ছে জাপানি মডেল। টেট্রা ব্লগ বানিয়ে নদী বাঁধকে সুরক্ষিত করার প্রয়াস বেশ লক্ষ্যণীয়।
আয়লা, আমফান, ইয়াসের দুঃসহ স্মৃতি এখনও তাড়া করে বেড়ায় সুন্দরবনের মানুষকে। অতীতের অন্ধকার দিনগুলোর কথা ভাবলেই আঁতকে ওঠেন এই প্রান্তিক ভূমির বাসিন্দারা। বিপর্যয়ের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই লড়তে হয় তাঁদের। একটাই ভাবনা কিভাবে আগামীতে সুরক্ষিতভাবে বাঁচার পথ ধরা যায়। সেই লড়াই-আর টিকে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা দেখে বাংলার সরকার পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে দোকনাদার সবার রুটি-রুজি রক্ষা করার কথা ভাবছে। ব্যবসায়ীরাও তাই আশা-আশঙ্কার দোলাচলে দিন কাটাচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার এই ঐতিহ্যভূমিকে রক্ষা করার কোনও উদ্যোগই নেয় না। বঞ্চনার প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে থাকা এই বকখালিকে নতুনরূপে সুরক্ষিত রাখার প্রয়াস নিচ্ছে। তাই সুন্দরবনের মতো হেরিটেজ অঞ্চলের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রাজ্যের মতোই কেন্দ্রও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিক, চাইছেন পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই।