কলকাতা

‘চুরি হচ্ছে জলের মিটার’, কড়া পদক্ষেপ কলকাতা পুরসভার

'Water meters are being stolen', Kolkata Municipality takes strict action

Truth Of Bengal: সুবীর মুখোপাধ্যায়: পানীয় জলের অপচয় রুখতে শহর জুড়ে জলের মিটার বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। শহর কলকাতার মতো সংযুক্ত বা অ্যাডেড এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে বসানো হয়েছিল এই জলের মিটার। কিন্তু লাগাতার রাতের অন্ধকারে গৃহস্থের বাড়ী থেকে এই জলের মিটার উধাও হওয়ার ঘটনায় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুর কর্তৃপক্ষের। আচমকা জলের মিটার চুরি বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা।

একটানা গরমের জেরে এমনিতেই রাজ্যবাসীর প্রাণ উষ্ঠাগত। তার উপর জলকষ্ট চরমে উঠেছে। ভূগর্ভের জলস্তর কমছে। আর এই পরিস্থিতিতে জলের মিটার চুরির ঘটনায় নতুন করে সমস্যায় পড়েছেন পুরকর্তারা। কলকাতায় প্রতিদিন ৭০ কোটি লিটার জলের অপচয় হয়। মাথাপিছু জলের বরাদ্দ ১৫০ লিটার। জলের অপচয় এখন কলকাতার বাসিন্দাদের একাংশের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। এই অপচয় রুখতে জলের মিটার কাশীপুর সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় জলের মিটার বসানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পুরকর্তারা । কলকাতা এনভরামেনন্টাল ইমপ্রুভমেন্ট ইনভেস্টেন্ট প্রজেক্ট জলের মিটার চুরির ঘটনা নিয়ে একটি তথ্য প্রকাশ করেছে। যা দেখে সকলের ঘুম ছুটেছে সকলের।

পরিসংখ্যান বলছে ,২০২২ সালের জুন মাস থেকে এখনও অবধি ১২০৪টি মিটারের কোনোও হদিশ পাওয়া যাচ্ছেনা। মূলত এই মিটার চুরির ঘটনা ঘটছে ১০১, ১০২, ১০৭ এবং ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে। বলা হচ্ছে যে সংখ্যক গৃহস্থের বাড়িতে জলের মিটার বসানো হয়েছিল, তার প্রায় ১২ শতাংশ মিটার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। চলতি বছরের প্রথম মাসেই ৪৬৯টি জলের মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে ।

২০২৩ সালের আগষ্ট মাসে ২২১টি অক্টোবর মাসে ২৫ নভেম্বর মাসে ৯৮ এবং ডিসেম্বর মাসে ১৫৮টি জলের মিটারের হদিশ পাওয়া যায়নি। পুলিশের অনুমান এই জলের মিটার চুরির পেছনে কিছু মাদক পাচারকারী কাজ করছে। টাকার জন্য এরা মিটারের মেটালিক বিক্রি করছে। পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে মিটার চুরি বেড়েছে। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এই চুরি ঠেকাতে সব রকমের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়ার মিটার চুরি অনেকটা রোধ করা সম্ভব হয়েছে।

Related Articles