Truth Of Bengal: একের পর এক চাল দিচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় এসেই নিয়েছেন নানা সিদ্ধান্ত। যার মধ্যে অন্যতম শুল্ক চাপানো। বুধবার গভীর রাতে নতুন করে অন্যান্য দেশগুলিকে বিপাকে ফেলেছে মার্কিন প্রশাসন। চিন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভিয়েতনাম, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রিটেন, থাইল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ডের পাশাপাশি শুল্কের বোঝা চেপেছে বাংলাদেশের উপরেও।
একেই বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বেহাল দশা। বিভিন্ন ইস্যুতে সরগরম সবমহল। বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। তার মাঝে এই শুল্ক আরোপ আরও বিপাকে ফেললো ইউনুস সরকারকে, এমনটাই মত বিশ্লেষকদের।বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উপর কর আরোপ করা হয়েছে ৩৭%।
মার্কিন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই, বৃহস্পতিবার নিজের ফেইসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। পোস্টে তিনি লেখেন,” আমেরিকা থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর আরোপিত শুল্ক পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ। এসব শুল্ক আরও যুক্তিসংগত করার উপায় খুঁজে বের করতে দ্রুত ও কার্যকরভাবে কাজ করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
যা শুল্কবিষয়ক জটিলতা নিরসনে প্রয়োজন। আমেরিকা বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আমাদের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করে আসছি।” জানা যায়, বিভিন্ন দেশের তরফ থেকেও ট্রাম্প প্রশাসনের উপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। যার জেরে আর্থিক ঘাটতি হচ্ছে মার্কিন মুলুকে।
কার্যত, সেই ঘাটতি পূরণে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। চিনের উপর চাপানো হয়েছে ৩৪% কর, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর ২০%, ভিয়েতনামের উপর ৪৬% শুল্ক আরোপের ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি জাপানের উপর ২৪%, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৫%, ব্রিটেন ১০%, থাইল্যান্ড ৩৬% এবং সুইজারল্যান্ড উপর ৩১% শুল্কের মুখোমুখি হয়েছে। এতেই খেঁপে গিয়েছে দেশগুলি এবং ট্রাম্পকে এর পাল্টা দিতে দেশগুলি একজোট হতে পারে বলেই মত প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।