Truth Of Bengal: রাজধানীর গুলশানে ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার স্মৃতিসৌধ ‘দীপ্ত শপথ’ গুঁড়িয়ে দিয়েছে উগ্রপন্থীরা। ওই স্মারকটি দুই পুলিশ কর্মকর্তার স্মরণে নির্মিত হয়েছিল, যাঁরা হামলার সময় প্রাণ হারিয়েছিলেন। স্মারক ধ্বংসের পর সেখানে হিজবুত তাহরিরের পোস্টার লাগানো হয়েছে।
এরপর পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ ময়নুল ইসলাম এই জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, যা আজকের প্রকাশ্য মিছিল দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
বিএনপি-জামাত সরকারের সময় বাংলাদেশে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছিল ‘হিজবুত তাহরির’। পরে ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, জনগণের নিরাপত্তার জন্য এটিকে হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে।
শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশেও এই সংগঠন নিষিদ্ধ। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই হিজবুত তাহরির নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে, অথচ প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন।
ইউনুসের ক্ষমতায় আসার পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) প্রধান জসীমউদ্দিন রহমানি। অভিযোগ উঠেছে, তার নেতৃত্বে এবিটি এখন নতুন করে ভারতকে রক্তাক্ত করার ষড়যন্ত্র করছে। বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো বাংলাদেশে উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর পুনরুত্থানের ইঙ্গিত দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।