
Bangla Jago TV Desk : প্রত্যাহার করা হল ন্যায়সংহিতা বিল পাশ। তাড়াহুড়ো করে ন্যায়সংহিতা বিল পাশ করাতে চাইছে কেন্দ্র, এমনই অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল সহ বিরোধীরা। এছাড়াও তুলে নেওয়া হয়েছে ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম বিল ও ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, বেশ কয়েকটি রদবদল করার পরে ফের এই তিনটি বিল পেশ করা হবে সংসদে। বিল তিনটি নিয়ে রাজ্যগুলির মতামত জানতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। তবে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিরোধী সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চিঠি লিখেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। ফলে এই বিল প্রত্যাহারের বিষয়টি নিজেদের জয় হিসেবে দেখছে তৃণমূল।
গত বাদল অধিবেশনে সংসদে পেশ হয়েছিল এই তিনটি বিল। প্রথম থেকেই তিনটি বিলের বিরোধিতা করে এসেছে বিরোধীরা। কলকাতায় থাকাকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে এই বিল নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, এই তিনটি বিল নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা দরকার। এত তাড়াহুড়ো করার কারণ নেই। বিলটি পেশ হওয়ার পর নানা মহলে সমালোচনার ঝড় উঠতেই সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো হয়।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম— এতদিন দেশে প্রচলিত আইনের আমুল বদল আনার জন্য তিনটি বিল নিয়ে আসে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই বিলের খসড়া নিয়েই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিজলালকে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। কেন তাঁদের আপত্তি, তা তিনি তুলে ধরেছিলেন চিঠিতে।
১৮৬০ সালের ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা ভারতীয় দণ্ডবিধি এবার হতে চলেছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। সিআরপিসি বদলে গিয়ে হবে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা। এবং এভিডেন্স অ্যাক্ট বদলে হবে ভারতীয় সাক্ষ্য আইন। যা বলা হয়েছে এই তিনটি বিলে। আপাতত সেই বিল প্রত্যাহার করা হল।
FREE ACCESS