“আমরা প্রতিশ্রুতি পালন করি, সারাজীবন চলবে…” লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড়ো ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
“We keep our promises, it will continue for a lifetime…” Big announcement by the Chief Minister regarding Lakshmi Bhandar.

Truth of Bengal: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে ফের মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকে তিনি জানান, এই প্রকল্প শুধুমাত্র ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, “সারা পৃথিবীতে প্রথম আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করেছি”— এমনই মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, “অনেকে এখন নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। বলছে এত টাকা দেবে, ওত টাকা দেবে। কিন্তু এতদিন দিল না কেন? ভোট এলেই কথা বলে, পরে ভুলে যায়। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে দায়িত্ব পালন করি। কখনো কথা থেকে সরিনি।”
এই সভা থেকেই তিনি জানান, উত্তরবঙ্গের জন্য একাধিক নতুন প্রকল্পের আর্থিক বরাদ্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি তুলে ধরেন, রাজ্য সরকার পূর্বে যে চারটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল— খাদ্যসাথী, দুয়ারে রেশন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং ছাত্রছাত্রীদের স্মার্ট কার্ড— সবই বাস্তবায়িত হয়েছে।
২০২১ সালের নির্বাচনের আগে চালু হয় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। এই প্রকল্পে সাধারণ মহিলারা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা এবং তফসিলি ও অনগ্রসর শ্রেণির মহিলারা পান ১২০০ টাকা করে। এর লক্ষ্য, নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করা।
এই প্রকল্পের অনুপ্রেরণায় দিল্লি, রাজস্থানসহ অন্যান্য রাজ্যেও মহিলাদের নগদ সহায়তা প্রকল্প চালু হয়েছে। দিল্লির নির্বাচনে আম আদমি পার্টি ও বিজেপি মহিলাদের টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, যার পরিমাণ যথাক্রমে ২১০০ ও ২৫০০ টাকা।
তবে এই প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের মতে, শুধু খয়রাতি নয়, মানুষের স্থায়ী উন্নয়ন ও স্বাবলম্বিতা নিশ্চিত করাই সরকারের দায়িত্ব হওয়া উচিত।
তবুও মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আমাদের গর্বের প্রকল্প। নারীদের সম্মানের প্রতীক। এটা বন্ধ হবে না, চলবে সারাজীবন।”