রাজ্যের খবর

স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে এসে তারাপীঠে ভিক্ষা, আয়ের সব টাকা তারা মা-কে সমর্পণ বৃদ্ধার

Voluntarily leaving home and begging at Tarapeeth

The Truth of Bengal: নদিয়ার দত্তফুলিয়ায় বাড়ি। বাড়িতে রয়েছে ছেলে, বউমা এবং একমাত্র নাতনি। সুখের সংসার ছেড়ে এখন ভিক্ষাবৃত্তি করেন তারাপীঠ মন্দির চত্বরে। বছর ৭০-এর শান্তিলতা বসু নিজের জন্য অবশ্য ভিক্ষা করেন না। তার উপার্জনের টাকায় তিনি ফুল-মালা কিনে মা তারার পুজো করেন। কখনও কখনও ভিক্ষার অর্থের পরিমাণ বেশি হলে সেই টাকা দিয়ে তিনি শাড়ি কিনে মা তারাকে নিবেদন করেন। কেন তিনি এখানে এসে পৌঁছলেন? এই প্রস্নের উত্তরে তিনি জানান, আজ থেকে ১৩ বছর আগে একদিন তিনি মেয়ের বাড়ি যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে ট্রেন ধরে সোজা চলে আসেন রামপুরহাট। সেখান থেকে তারাপীঠ।

তিনি জানিয়েছেন, পরিবারের সঙ্গে কোন ঝামেলা নেই। সবাই তাঁকে খুব ভালবাসে। কিন্তু আমি মা তারার টানে শেষ জীবনে তিনি তারাপীঠে ছুটে এসেছেন। ছেলে একাধিকবার বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য এলেও তিনি ফিরে যাননি। তার ইচ্ছা, শেষ জীবনটা তিনি মা তারার কাছেই কাটাবেন। পরনে সাদা শাড়ি, চোখে চশমা, হাতে একটি বই এবং তার সামনে রয়েছে একটি বাটি। এভাবে প্রত্যেকদিন তিনি ওই মন্দিরের সামনে বসে পড়েন তিনি। এই বৃদ্ধা কারও কাছে ভিক্ষা চান না। সহৃদয় মানুষজন যা দেন তাতেই তিনি খুশি।

কারণ তিনি নিজের জন্য ভিক্ষা করেন না। উপার্জনের টাকায় তিনি ফুল-মালা কিনে মা তারার পুজো করেন। কখনও কখনও ভিক্ষার অর্থের পরিমাণ বেশি হলে সেই টাকা দিয়ে তিনি শাড়ি কিনে মা তারাকে নিবেদন করেন।সমস্ত তীর্থক্ষেত্রের বাইরে দেখা যায় সার দিয়ে বসে ভিক্ষাবৃত্তি করছে মানুষজন। ভিক্ষার টাকায় নিজেদের পেটের খাবার জোগাড় করেন তাঁরা। তারাপীঠ মন্দিরও ব্যতিক্রম নয়। তারাপীঠ মন্দিরের বড় গেটের সিঁড়ি দিয়ে উঠলেই নজরে আসা এই বৃদ্ধা ভিক্ষুক আয়ের টাকা নিবেদন করেন তারা মা-কে। এই ভিক্ষা করতে করতে তিনি শেষ জীবনটা কাটাতে চান মা তারার শরণে।

Related Articles