সৎকারের পয়সা নেই, পুলিশ পাশে দাঁড়ানোয় হল শেষকৃত্য
There is no money for cremation, the funeral was done as the police stood by

The Truth Of Bengal : মালদা:- পরিবারে অর্থাভাব। বৃদ্ধের মৃত্যুর পর শেষকৃত্যের জন্য চাঁদা তুলছিলেন পরিবারের লোকেরা। সেই সময় বাড়িতে হঠাৎ পুলিশের গাড়ি। উর্দিধারীদের দেখে ভয় পেয়ে যান পরিবারের লোকেরা। কিন্তু পরক্ষণেই বুঝতে পারেন খোদ আইসি এসেছেন সাহায্যের জন্য। এসেছেন তাদের পাশে দাড়ানোর জন্য। পুলিশের এই মানবিক রূপকে কুর্নিশ জানালেন সকলে। মৃত গণেশের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেনে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি। শেষকৃত্যে দিলেন সাহায্য। প্রসঙ্গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃদ্ধ অসুস্থ গনেশ দাস কে তুলসীহাটা ব্রিজের নিচে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল।
চার দিন ধরে ওই এলাকায় পড়ে থাকা সত্ত্বেও সে সময় কর্তব্যরত পুলিশের পেট্রোলিন ভ্যান দেখা সত্ত্বেও উদ্ধার করেনি বলে অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সৌমেন মন্ডলের নির্দেশে অসুস্থ বৃদ্ধ গনেশকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে অবশেষে বাড়িতেই মারা যান ওই অসুস্থ বৃদ্ধ গনেশ দাস। বিপাকে পড়ে তার হতদরিদ্র পরিবার। গণেশের শেষকৃত্যর জন্য অর্থের জোগাড় করতে পারেন নি তারা। খবর পেয়ে পাশে দাঁড়ালেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ প্রশাসন। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার নবনিযুক্ত আইসি মনোজিৎ সরকার খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ছুটে যান গণেশ বাবুর বাড়িতে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনি তৎক্ষণাৎ গণেশ বাবুর শেষকৃত্যের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করেন। পুলিশের কাছ থেকে এমন সহযোগিতা পেয়ে আপ্লুত গণেশের পরিবারের লোকেরা। তারা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ প্রশাসনকে। এক সময় হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশের অবহেলার জন্যই গণেশকে চার দিন ধরে রাস্তায় পড়ে থাকতে হয়েছিল। আজ সেই পুলিশেরই অন্য রূপ দেখে অবাক হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দারা।