রাজ্যের খবর

জানা ছিল না ভাইফোঁটার মাহাত্ম্য, আদিবাসী সমাজকে ভাইফোঁটায় শামিল

Bhaiphota

The Truth of Bengal: পাঁচ দিনের দীপাবলি উৎসবের শেষ দিনের উৎসব হল ভাইফোঁটা। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দিনে পালিত হয় ভাইফোঁটা। এই দিনে বোনেরা তাদের ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু কামনার পাশাপাশি এবং সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করে। এই উৎসবটি ভ্রাতৃদ্বিতীয়া নামেও পরিচিত। ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় বোনের প্রার্থনার উৎসব এবং বোনকে সুরক্ষিত রাখার ভাইয়ের উৎসব।

ভাই-বোনের বন্ধন দৃঢ় হয় ভাইফোঁটায়। ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। ভাইয়ের জন্য আয়োজন সাজিয়ে অপেক্ষায় বোনেরা। বোনের হাত থেকে ফোঁটা নিয়ে পাল্টা আশীর্বাদ শুভেচ্ছার পালা চলছে। সবশেষে থাকে খাওয়া দাওয়ার হরেক আয়োজন। ভাইফোঁটায় এটাই পরিচিত দৃশ্য গোটা বাংলায়। তবে ভাইফোঁটা কী জিনিস তা জানা ছিল না সিউড়ির কলেজ পাড়ার আদিবাসী পাড়ার ছেলেমেয়েদের। তাঁদের ভাইফোঁটায় শামিল করতে কয়েকজন যুবক উদ্যোগী হন। ভাইফোঁটার মাহাত্ম্য সম্পর্কে জানানোর পাশাপাশি গণ ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়।

এলাকার একটি কালীপুজো প্রাঙ্গণে গণ ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়।  কীভাবে ভাইফোঁটা দিতে হয় আদিবাসী ভাই-বোনেদের তা শেখানো হয়। আদিবাসী সমাজ খুশি এমন উদ্যোগে।ভাই ও বোনের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করার পবিত্র অনুষ্ঠান ভাইফোঁটা। বাংলার ঘরে ঘরে দিনটি উদযাপন হলেও এতদিন সিউড়ির আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দারা জানতেন না দিনটির মাহাত্ম্য। সেই আদিবাসী ভাই বোনেদের ভাইফোঁটার গুরুত্ব বুঝিয়ে দিনটি উদযাপন করলেন কয়েকজন যুবক। খুশি আদিবাসী সমাজ।

Free Access

Related Articles