থামছে না ট্রেন, ভোগান্তি যাত্রীদের, ক্ষোভে উত্তাল বার্নপুর স্টেশন
The train is not stopping, passengers are suffering, Barnpur station is full of anger

The Truth Of Bengal : উজ্জ্বল দাশগুপ্ত, পশ্চিম বর্ধমান, আসানসোল:- বার্নপুর নাগরিক মঞ্চ ও ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দক্ষিণ পূর্ব রেলের বার্নপুর স্টেশনে একাধিক দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলার অশোক রুদ্র। এদিন বিক্ষোভকারীরে স্টেশন মাস্টারের ঘর সহ রেল লাইনে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে অশোক রুদ্র বলেন, “আগে বার্নপুর স্টেশনের ওপর দিয়ে হাফ ডজন দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেন যেত। যাদের স্টপেজ বা যাত্রা বিরাম ছিল বার্নপুর স্টেশনে। কিন্তু করোনা সময়কাল থেকে ধীরে ধীরে টাটা-ছাপরা, সাউথ বিহার,পুরী- পাটনা,পাটনা- এরনাকুলাম সহ ছটি এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে প্রায় ১ লাখ সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। রাত্রি কালীন সফরে তাদের বাড়তি ১২-১৫ কিমি যাত্রা করে আসানসোল স্টেশনে পৌঁছে গাড়িগুলি ধরতে হচ্ছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী অমৃত ভারত প্রকল্পে যাত্রী সাচ্ছন্দ্যের কথা তুলে ধরে বার্নপুর স্টেশনের উন্নয়ণ ঘটাতে চলেছেন। উল্টোদিকে বাস্তবের মাটিতে দেখা যাচ্ছে যাত্রীরা দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন। তাদের দাবি অবিলম্বে ওই দূরপাল্লার ট্রেনগুলির স্টপেজ বার্নপুর স্টেশনে দিতে হবে। না হলে সাধারণ মানুষ বাধ্য হবে ওই ট্রেনগুলির গতি রোধ করতে।”
তবে মঙ্গলবার বার্নপুর স্টেশনে নাগরিক মঞ্চের বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি নাগরিক মঞ্চের দাবির স্বীকৃতি দিয়ে বলেন, বিষয়টি তিনি এই মুহূর্তে জানতে পেরেছেন, এবং এলাকার সাংসদও এই বিষয়ে দাবি উত্থাপন করেছেন। তবে যে কোনো স্টেশনে দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ বাতিল করার পিছনে কিছু ট্যেকনিক্যালি কারণ থাকে। যেমন সেই স্টেশনের নিকটবর্তী স্টপেজ থেকে দূরত্ব বা সেই স্টেশন থেকে কতজন যাত্রী ট্রেনগুলি থেকে ওঠা নামা করেন। রেল কতটা রেভেনিউ পায়। ইত্যাদি নানান বিষয় থাকে। তবে তিনি নিজে এই আসানসোল বার্নপুর অঞ্চলেরই নাগরিক। তার বেড়ে ওঠা এই শহরেই। তাই শহরের নাগরিকদের সমস্যা তার নিজেরও সমস্যা। তাই তিনি যে ছয় বা সাতটি ট্রেনের স্টপেজ বাতিল হয়েছে, তা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে যথাযথ স্থানে প্রশ্ন তুলবেন। প্রয়োজনে নিজেও আন্দোলন করবেন।