রাজ্যের খবর

বঞ্চিত মানুষদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে রাজ্য চালু করছে কর্মশ্রী প্রকল্প

The state is launching the Karmasree scheme to provide alternative employment to the deprived people

The Truth Of Bengal: বঞ্চিত মানুষদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে রাজ্য চালু করছে কর্মশ্রী প্রকল্প।  কাজ করেও কেন্দ্রের থেকে টাকা না মেলায় জবকার্ড হোল্ডাররা কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। সেইসব অসহায়দের মুখে হাসি ফোটাতে রাজ্য সরকার কর্মশ্রী প্রকল্প চালু করছে।৫০দিনের কাজ নিশ্চিত করার এই ভাবনাকে খোলামনে স্বাগত জানাচ্ছেন গ্রামবাংলার মানুষ।বাংলা জাগোর ক্যামেরার সামনে বঞ্চিতরা তুলে ধরলেন খোলামেলা প্রতিক্রিয়া।

কাজ করেও টাকা পাচ্ছে না,বাংলার ২১লক্ষ মানুষ।মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও মেলেনি কেন্দ্রের টাকা।রাজ্যের সেইসব বঞ্চিতদের কাজের ব্যবস্থা করতে এগিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার।বাংলার নিজস্ব অর্থনৈতিক ভাবনা থেকেই রাজ্যের তহবিল থেকে ৩৭০০কোটি টাকা ব্যয়ে  শুরু হবে কর্মশ্রী প্রকল্প।কষ্ট আর আর্থিক ডামাডোলের মধ্যে দিন কাটানো মানুষগুলো রাজ্যের এই কর্মমুখী প্রকল্পকে কি চোখে দেখছে,কতটা স্বস্তি দিচ্ছে বিকল্প কর্মনিশ্চয়তার চিন্তাধারা ? একথা জানতেই আমাদের ক্যামেরা পৌঁছে গিয়েছিল রাজ্যের নানা প্রান্তে।রুখা-সুখা লালমাটির জেলার খেটে খাওয়া মানুষরা রাজ্যের সমাজবন্ধু পদক্ষেপের তারিফও করছেন।

শস্যগোলা বর্ধমানে বারোমাসের মধ্যে বেশিরভাগ সময় ক্ষেতমজুররা মাঠেই কাজ করেন।বাকি সময় তাঁরা একশদিনের কাজের মাধ্যমে সংসার চালান।কিন্তু সেই একশদিনের কাজের টাকাও কেন্দ্র আটকে রাখায় শ্রমিকরা বেকায়দায় পড়েছেন।দিন আনি দিন খাই বা নুন আন্তে পান্তা ফুরোয় মানুষগুলো,দিল্লি থেকে রাজভবন সর্বত্র গণঅবস্থানে সামিল হয়েছেন।কলকাতার রেডরোডের ধর্নাতেও দাবি পেশ করেছেন।কিন্তু তাঁরা বলছেন,কথা দিয়ে কথা রাখছে না কেন্দ্র।অন্নসংস্থানের ব্যবস্থা করার বদলে রোজগারে কোপ বসানোর রাজনীতি চলছে।বিজেপির রাজনীতিকে ধিক্কার জানানোর পাশাপাশি বাংলার মানুষকে রাজ্যের তরফে কাজ দেওয়ার এই গ্যারান্টিকে দলমত নির্বিশেষে প্রান্তিক মানুষরা স্বাগত জানাচ্ছেন।

২১ফেব্রুয়ারির মধ্যে অ্যাকাউন্টে মিলবে ২১লক্ষ জবকার্ড হোল্ডারের মজুরি।বকেয়ার যন্ত্রণার অবসান এখন সময়ের অপেক্ষা।আর্থিক ভার অনেকটাই কমাচ্ছে রাজ্য সরকার।তারসঙ্গে ৫০দিনের কাজের নিশ্চয়তা দেখে অনেকেই বলছেন,এমন বাংলাই তাঁরা চান,যেখানে প্রতি হাতে কাজ,প্রতি পরিবারে রোজগার ঠিক থাকবে।

শ্রমিক-খেটেখাওয়া মানুষের একটাই দাবি,বাংলার টাকা বাংলার অর্থভান্ডারে পৌঁছে দেওয়া হোক।ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে দিয়ে বাংলাকে জাতীয়সভায় যোগ্য মর্যাদা দেওয়া হোক।

Free Access

Related Articles