রাজ্যের নৌপথের চেহারা বদলাতে উদ্যোগী সরকার, প্রকল্পের খরচ হাজার কোটি
West Bengal Government ferry service project

The Truth of Bengal: রাজ্যে পরিবহণ ব্যবস্থায় নয়া রূপ দিতে চলেছে রাজ্যসরকরা। তাই এবার জলপথ পরিবহণকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ফেরি ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রাথমিক বাজেট তৈরি করা হয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকা।
শহরতলী থেকে কলকাতা নগরে কর্মসূত্রে বা বাণিজ্যের স্বার্থে দৈনিক কয়েক লক্ষ মানুষ আসা যাওয়া করেন। তাঁদের জন্য, ট্রেন, বাসের পরিবহণ ব্যবস্থা যেমন অপরিহার্য, ঠিক ততটা অপরিহার্য।
কিন্তু তুল্যমূল্য বিচার করলে, জলপথ পরিবহণের ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে অপ্রতুল। শহরে যান পরিবহণের উপর চাপ কমাতে এবং জলপথ পরিবহণকে ঢেলে সাজাতে নয়া পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্যসরকার। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, নিত্যযাত্রীদের সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যা কার্যকর হবে রাজ্যের বিভিন্ন জলপথে। যাত্রী পরিবহণের পাশাপাশি, পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
প্রশাসনিক কর্তাদের দাবি, প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, ত্রিবেণী থেকে গেঁওখালি ও কল্যাণী থেকে নূরপুর- গঙ্গার বুকে এই দুই রুটে ফেরি সার্ভিসের পরিকল্পনা নিয়েছে, যা এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত। রাজ্যের তরফে একটি সমীক্ষাও করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন ও ৬০০ টন পণ্য ফেরি হয় ওই দুই নদীপথে। তাই ওই ফেরিঘাট থেকে নৌযান, সব ক্ষেত্রেই পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকারি বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গিয়েছে, যাত্রীসুরক্ষার জন্য ঘাটগুলিতে বসানো হবে রেলিং, নৌকা বা ভেসেলে ওঠার আগে, যাত্রীদের যে রেম্পগুলিতে দাঁড়াতে হয়, সেখানে যাতে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীরা সহজে ব্যবহার করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাত্রীদের জন্য ওয়েটিং হল, বাথরুম, সব কিছুরই পরিবর্তন করা হচ্ছে। বসবে স্মার্ট টিকিট কাউন্টার।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ১৫টি নতুন জেটি তৈরি করা হবে। এ ছাড়া যেখানে যাত্রী বেশি হয়, সেখানে গড়ে তোলা হবে টার্মিনাল। হাওড়া, পানিহাটি, চুঁচুড়া, নৈহাটি, মেটিয়াবুরুজে টার্মিনাল তৈরি পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া নিবেদিতা সেতু থেকে শুরু হবে কার্গো রুট, যেখানে পণ্যবাহী ট্রাকও যাতায়াত করতে পারবে।
এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে ৩০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়া হচ্ছে ৭১৫ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে এ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্ককে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে অনুমোদন পায় রাজ্য। এই প্রকল্প আগামী ৫ বছরের মধ্যে পুরো শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে।