
The Truth of Bengal: আলু চাষের মরসুম শুরু হল। জমি প্রস্তুত করে দিকে দিকে বীজ লাগানো শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের চাষিদের জন্য যত আলুবীজ লাগে তার একটা বড় অংশ আমদানি করতে হয় ভিনরাজ্য থেকে। তার জন্য চাষিদের বাড়তি খরচ হয়ে যায়। ভিনরাজ্যের আলুবীজের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমাতে এগিয়ে এল রাজ্য সরকার। বাংলার হাইটেক বীজ আলু বঙ্গশ্রীর স্টলের উদ্বোধন হল ধূপগুড়িতে। চড়া দামে আলু বীজ কিনতে গিয়ে চাষিদের যেমন হিমশিম খেতে হয়, তেমনই অনেক অসাধু ব্যবসায়ীর জন্য নিম্নমানের আলুবীজ কিনতে বাধ্য হন চাষিরা।
সেই আলু আলুতে পচন ধরে। যার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে কৃষকদের। সেই সঙ্গে রোগ-পোকার আক্রমণ তো রয়েছেই। ঋণ নিয়ে আলু চাষ করে বিপাকে পড়তে হয় কৃষকদের। তাই আলু চাষিদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হল কৃষি দফতর। আলু বীজে অন্য রাজ্যের প্রতি নির্ভরশীলতা কমাতে রাজ্য কৃষি দফতরের তরফে হাইটেক পদ্ধতিতে উন্নত মানের আলু বীজ তৈরি করা হয়েছে। উন্নতমানের সেই আলু বীজ সস্তায় চাষিদের হাতে তুলে দিতে উদ্যোগী হয়েছে জলপাইগুড়ির কৃষি দফতর।
কৃষকদের কথা মাথায় রেখে এবছর জেলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করছে ন্যায্য মূল্যের আলু বীজের স্টল। অন্য রাজ্যে থেকে আনা বীজের দাম যেখানে অনেকটাই বেশি, সেখানে কৃষি দফতর আলুবীজ বিক্রি করছে অনেক কম দামে। কম দামে উন্নতমানের বীজ পেয়ে খুশি চাষিরা। রাজ্য সরকারের কৃষি দফতর এগিয়ে আসায় এখন অনেক উপকৃত হয়েছেন আলু চাষিরা। বীজ পাওয়ার জন্য তাদের অন্য রাজ্যের প্রতি নির্ভরশীলতা কমেছে। কম দামে উন্নতমানের বীজ পাচ্ছেন তাঁরা। সরকারের সহযোগিতায় খুশি চাষিরা।