
The Truth of Bengal: ২০১৭তে সুন্দরবনের জঙ্গলে জলদস্যুর সঙ্গে গুলির লড়াই বাঁধে পুলিসের। পণ্যবাহী জাহাজ অপহরণের ছক বানচাল করে দেয় পুলিস। সুন্দরবনের ঝড়খালি উপকূল থানার বিদ্যা নদীতে হামালবেড়িয়া জঙ্গলের কাছে সেই ঘটনার পুণরাবৃত্তি রুখতে বাড়ানো হয় নজরদারি । তবুও সুন্দরবনে জলদস্যুদের আনাগোনা বাড়ছে। তারমাঝে সুন্দরবনের ডাঁসা নদী থেকে মাছ ধরার নৌকা চুরির ঘটনায় ভিনদেশের হানাদারদের সম্পর্কে আতঙ্ক বেড়েছে। বিশেষ করে মাছ ধরার নৌকা বেহাত হওয়ায় আর্থিক দিক দিয়ে সমস্যায় পড়েছেন ওই মত্সজীবী।
মত্সজীবী পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন, তাঁরা অথৈজলে পড়লেন। কীভাবে এই ভিনদেশী দস্যুদের অত্যাতার বাড়ছে তা নিয়েও তাঁরা প্রশ্ন উঠছে। সন্দেশখালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা মৎস্যজীবী অর্পণা মন্ডল।,পুলিশের প্রাথমিক অনুমান রাতের অন্ধকারের জলদস্যুরাই এই মাছ ধরার নৌকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে বাংলাদেশে। অভিযোগ পাওয়ার পর তল্লাশি শুরু করেছে সন্দেশখালি থানার পুলিশ ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা।
স্বামী অসুস্থ তাই নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত এই মৎস্যজীবী মহিলা। তিনি বলেন, এই নৌকাই তাঁর জীবনের দরিয়া এগিয়ে নিয়ে যায়,জীবিকার দিশা দেখায়। বাংলাদেশী জলদস্যুদের অত্যাচার রুখতে বিএসএফ আরও নজর বাড়াক।চায় সন্দেশখালির বাসিন্দারাও। এখন মহিলা মত্সজীবীর একটাই আশা,তাঁর স্বপ্নের যান ফিরে আসুক,তাঁর কাছে.,যাতে উজানের হাত ধরে উপার্জন বাড়ে….