বাংলা সহায়ক কেন্দ্রের সংখ্যা আরও বাড়ছে গোটা রাজ্যে
The number of Bangla support centers is increasing across the state

Truth Of Bengal: ২০২৩ সালে বাংলা সহায়ক কেন্দ্রের আর্থিক লেনদেনের অঙ্ক ছিল ১৬৯ কোটি টাকা। গোটা রাজ্যে ২০২৪ সালে সেই আর্থিক লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৭৯ শতাংশ। বাংলা সহায়ক কেন্দ্র বা বিএসকে-এর মাধ্যমে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের পাশাপাশি জমি ও বাড়ির খাজনা, বিদ্যুৎ বিল মেটানো সহ বিভিন্ন পরিষেবা মেলে। রাজ্য সরকারি তথ্য অনুসারে, বর্তমানে মোট ৩৫৬১টি বিএসকে বা বাংলা সহায়ক কেন্দ্র রয়েছে। ‘বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাংলা সহায়ক কেন্দ্র পাওয়া যাচ্ছে। আর সেখানেই বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা মেলে। যেগুলি মানুষের অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আঁধার কার্ডে কোনও সমস্যা হয়েছে তা মেটানো সম্ভব। আবার কোন বিল পেমেন্ট করা যায়। এখন তো ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধা রয়েছে। সেই কারণে মানুষের বিএসকে-এর দিকে ঝোঁক বাড়ছে বলে জানিয়েছেন নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা।
যেহেতু বাংলা সহায়ক কেন্দ্রকে এখন আর্থিক লেনদেনের অনুমতি দিয়ে দিয়েছে নবান্ন, তার ফলে আর্থিক লেনদেনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়ছে। আর সেই কারণেই ২০২৩ সালে ১৬৯ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনে পরিষেবা হয়েছে। যা ২০২৪ সালে প্রায় ৭৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩০৩ কোটি টাকার। পরিষেবার প্রশ্নে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে পূর্ব বর্ধমান এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। রাজ্য সরকারের এক শীর্ষ কর্তার মতে, বিগত সময়ে বাংলা সহায়ক কেন্দ্রের সংখ্যা গোটা রাজ্যে বাড়ানো হয়েছে। যার ফলে সম্মিলিত ভাবে ১.৩৯ কোটি মানুষ কোনও না কোনও পরিষেবা সেখান থেকে পেয়েছেন।
বাংলা সহায়ক কেন্দ্রের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে একাধিকবার ‘দুয়ারে সরকার’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প শুধু নয়, প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা সহজেই পেতে পারে রাজ্যের আমজনতা। সেই সমস্ত পরিষেবা সারা বছর যাতে বাড়ির সামনেই পাওয়া যায় তার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চালু হয়েছে বাংলা সহায়ক কেন্দ্র। একদিকে মানুষ যেমন পরিষেবা পাচ্ছে তেমনই বিএসকে-এর সঙ্গে জড়িত যুবক-যুবতীদেরও কর্মসংস্থান হয়েছে। শুধুমাত্র রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই নয় কলকাতার ক্ষেত্রেও বিএসকে-এর সংখ্যা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিগত সময়ে ১.৩৯ কোটি মানুষ যে বিএসকে-এর মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে তার মধ্যে তপশিলি জাতিভুক্ত মানুষ পরিষেবা পেয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষ। প্রায় ৭ লক্ষ অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত মানুষেও বিভিন্ন পরিষেবা দিতে সমর্থ্য হয়েছে বাংলা সহায়ক কেন্দ্র।
সরকারি রিপোর্ট অনুসারে, স্বাস্থ্য সাথীর জন্য আবেদন, কাস্ট সার্টিফিকেট, ই-কেওয়াইসি, আঁধার কার্ড সংক্রান্ত পরিষেবা সবথেকে বেশি নেয় রাজ্যের মানুষ এই বাংলা সহায়ক কেন্দ্র থেকে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ই-ওয়ালেট ট্রানজাকশনের তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষ নিজেদের বাড়ির সামনে বাংলা সহায়ক কেন্দ্র কোথায় রয়েছে তা সহজেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানতে পারে। বাংলা সহায়ক কেন্দ্র আগামী সময় সরকারি পরিষেবা এবং ই-ওয়ালেট পরিষেবার জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।