স্বাভাবিক ছন্দে হাসপাতাল, মিলছে সব ধরনের পরিষেবা
The hospital is providing all kinds of services in normal rhythm

Truth of Bengal: রাজ্য প্রশাসন হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করায় ভরসা ফিরে পাচ্ছেন চিকিৎসকরা। জেলা হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা যোগ দিচ্ছেন কাজে। যারজন্য সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে। রোগীদের হয়রান হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে না। চিকিৎসা মেলায় প্রাণ ফিরে পান অনেক রোগী ।
অগাস্টের পর কেটে গেছে প্রায় ১৫দিন। তবুও কলকাতার মুখ্য হাসপাতালগুলোর পরিষেবা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। আরজি কর, মেডিক্যাল কলেজে অবস্থান আন্দোলনের মাঝে পরিষেবা দিচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সিনিয়র ডাক্তাররা পরিষেবা প্রদান জারি রেখেছেন। যারজন্য জরুরি সহ সমস্ত চিকিৎসা মিলছে জেলার হাসপাতালগুলোতে।
শুক্রবার থেকেই ছবিটা বদলায়। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় পরিষেবা। দেখা যায়,সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালা,বর্ধমান জেলা হাসপাতালে চিকিৎসকরা সুপ্রিম আবেদনে সাড়া দিয়ে কাজে যোগ দেন। শনিবার দেখা যায়, একাধিক হাসপাতালে স্বাভাবিক ছন্দ বজায় রয়েছে।
আর উইনার্স টিম সহ প্রশাসনের কর্তাদের এই কড়া নজরদারিতে হাসাপাতালের সিনিয়র থেকে জুনিয়র সবধরণে চিকিৎসকই পরিষেবা প্রদানে এগিয়ে আসছেন। বিচারের দাবিতে অনড় থেকেই চিকিৎসকদের অনেকেই স্বতঃপ্রণোদিতভাবেই স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে সক্রিয় হয়েছেন। যার জন্য রোগীদের হয়রান হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে না। চিকিৎসা মেলায় অনেক রোগী স্বস্তি পাচ্ছেন।
কেতুগ্রাম হাসপাতাল সহ অন্যান্য হাসপাতালের মতোই কাটোয়া ব্লক হাসাপাতালে দেখা যায় নিরাপত্তার বহর বাড়ায় চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিচ্ছেন। তাতে পরিষেবা পাচ্ছেন দূর দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা। হয়রানির রোজনামচার ছবিটা বদলানোয় রোগীও রোগীর পরিজনরা, সন্তোষ প্রকাশ করছে।
দূর থেকে আসা রোগীরা এই পরিষেবা মেলায় বলছেন, সময় অপচয় কমছে। হাসপাতালে উন্নত পরিষেবা আর চিকিৎসকদের সহযোগিতা মেলায় দিন দিন রোগীদের ভিড়ও বাড়ছে। স্বাস্থ্য প্রশাসন সুরক্ষার পাশাপাশি রোগীদের স্বার্থে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলায় সবমহলই আশ্বস্ত বোধ করছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন,তাঁরা বিচার চান, তবে রোগীদের স্বার্থে সহযোগিতা করতে বা্ধ্য হচ্ছেন। সবমহলই চাইছে, হাসপাতালগুলোর চেনা ব্যস্ততার ছবিটা বজায় খাক।