মগজাস্ত্রের সাহায্যে লক্ষ্যভেদ করেছেন অনেককিছু, মূক-বধির যুবক কৌশিকের জন্য সরকারের কাছে কর্মসংস্থানের আর্জি পরিবারের
The family's application to the government for employment for the deaf-mute youth Kaushik

The Truth of Bengal: পড়াশোনা থেকে খেলাধূলা, সবেতেই আলাদা ছাপ রেখেছেন মাজদিয়ার কৌশিক মিত্র। মগজাস্ত্রের সাহায্যে নিজের ক্লাস বুঝিয়েছেন তিনি। এখন কম্পিউটার নিয়ে নানা কাজ করেন তিনি। মূক-বধির সেই কৌশিক মিত্রের ভবিষ্যত নিয়ে বড় চিন্তায় তাঁর পরিবার। ভাবনা একটাই, আগামীদিনে কিভাবে চলবে তাঁর জীবন। বাংলার সরকার এই অসহায় যুবকের কর্মসংস্থানের জন্য কিছু করুক,চায় নদিয়ার এই অসহায় পরিবার।
আর পাঁচটা যুবকের থেকে তিনি একেবারেই আলাদা। মুখ ফুটে কিছু বলতে পারেন না,কানেও শুনতে পান না।মূক-বধির মাজদিয়ার কৌশিক মিত্র,মগজাস্ত্রে অনেক কিছুর লক্ষ্যভেদ করেছেন। মেধার সাহায্যে প্রমাণ করেছেন,প্রতিবন্ধকতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পারেন,যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তিনি একাই একশো। এরমধ্যে বাবা-মায়ের স্নেহছায়ায় লেখাপড়া থেকে খেলাধূলা সবেতেই প্রতিভার ছাপ রেখেছেন। কৌশিক মিত্রের বাবা সরকারি চাকরি করতেন। তিনি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন। শারীরিক অক্ষমতাকে ভুলে ছোটবেলা থেকেই পায়ের জাদুতে সাড়া ফেলেন। ১৮ তম ওয়েস্ট বেঙ্গল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ ডিফ ফুটবল প্রতিযোগিতায় ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছেন এই প্রতিভাবান যুবক। মাজদিয়ার পূর্ণগঞ্জ গ্রামের এই মূক বধির ছেলেটির পরিবার এখন খাদের কিনারায়।কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবেন ভেবে পাচ্ছেন না।কারণ কৌশিকের বাবা শঙ্কর মিত্র ছিলেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী।অবসরের পর ছেলের ভবিষ্যত তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে।তাই কৌশিকের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতি মানবিকতার হাত বাডি়য়ে দিক,চাইছেন তাঁর বাবা।
এখন পেনশনের টাকাতেই কোন রকমের সংসার চলে মিত্র পরিবারের। সেই কারণেই বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তা ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে। কৌশিকের মা সর্বানি মিত্র জানান, অনেক কষ্ট করে এই মুক ও বধির ছেলেকে তিনি মানুষ করেছেন। বর্তমানে তাঁদের আর্থিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ। তাঁদের অবর্তমানে ছেলেটি অনাথ হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা সর্বানী দেবীর।তাই রাজ্য সরকারের কাছে এখন আবেদন-নিবেদন করছে অনিশ্চয়তায় ভুগতে থাকা মাজদিয়ার এই পরিবার। বর্তমানে কৌশিক কম্পিউটারে টুকটাক কাজকর্ম করে। যদিও তাতে ভবিষ্যৎ কিছু দেখতে পান না কৌশিকের বাবা-মা। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীকে তাদের কাতর আবেদন তাদের সন্তানকে কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিলে যাতে তারা সুনিশ্চিত হন।