রাজ্যের খবর

ভেঙেছে বাঁশের সেতু, নৌকায় চলছে ঝুঁকির পারাপার, পাকা সেতুর আর্জি কালিয়াচকবাসীর

The bamboo bridge is broken, the dangerous crossing is going on by boat, the people of Kaliachak are asking for a paved bridge

The Truth of Bengal: জলের চাপে ভেঙে পড়েছে কালিয়াচকের দক্ষিণ চণ্ডীপুরের বাঁশের সেতু। ভরাবর্ষায় ভাগীরথী নদী দিয়ে যাতায়াত করার জন্য নৌকাই ভরসা। কার্যতঃ জীবন হাতে করে পারপার করতে হচ্ছে কালিয়াচকের মানুষকে।বিষয়টি মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের নজরে আনা হয়এছে।আশা করা হচ্ছে,আগামীদিনে এই নদীতে পাকা সেতু গড়ে তোলা হবে।

বর্ষা এলেই ঘুম ছোটে মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দাদের।  কারণ ভরা নদীতে পারপার করতে গেলে প্রতি পদে বিপদের আশঙ্কা থাকে। এতদিন বাঁশের সেতু দিয়ে পারপার করতে গেলে ভয় হতো।কারণ সেই বাঁশের সেতু হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ায় বিপত্তি বেঁধেছে।একপ্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মালদার এই দক্ষিণ চণ্ডীপুর  গ্রামের মানুষদের। বাঁশের সেতু ভেঙে পড়ায় একপ্রকার বাধ্য হয়ে নৌকার ব্যবস্থা করেছেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। কিন্তু ছোট ছোট নৌকা দিয়ে পারপার করতে গেলে ঝুঁকি থাকে। ভরা বর্ষায় ভাগিরথী নদী পারপার করা বড় আশঙ্কার। তবুও পেটের টানে বা প্রয়োজনীয় কাজের জন্য গ্রামবাসীদের এভাবেই জলপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে।স্কুল বা হাসপাতালে যাওয়ার জন্য নৌকাই ভরসা।এভাবে  যাতায়াত করার জন্য ভয় গ্রাস করে।অনেকেই ভাবেন কখন যে কী হয় ?

প্রাণ ঝুঁকি নিয়ে ভরা বর্ষায় ভাগিরথী নদী দিয়ে নৌকা করে যাতায়াত করছেন গ্রামবাসীরা নৌকা করে পারাপার করার জন্য ছোট ছোট পড়ুয়ারা ভয় পাচ্ছে । গ্রামবাসীরা জানান ওইপারে রয়েছে বাঙ্গিটোলা গ্রামীণ হাসপাতাল এবং বালুয়াচড়া হাই স্কুল। ফলে হাসপাতাল কিংবা স্কুলে যেতে হলে তারা এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতেন। এছাড়াও নিত্য প্রয়োজনীয় কাজেও এই সেতু দিয়ে তাদের যেতে হয়। তাই ভাগীরথী নদীর উপর পাকা সেতু নির্মাণের দাবি উঠছে।

রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সামসুন নেহার, আরও জানান সেতু নির্মাণ করার জন্য বরাদ্দ টাকা পঞ্চায়েতের কাছে নেই। বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।কবে রাজ্যের সেচমন্ত্রী এখানে পাকা সেতু তৈরির উদ্যোগ নেন,সেদিকেই তাকিয়ে কালিয়াচকের মানুষ।

Related Articles