রাজ্যের খবর

শুক্রবার অনুষ্ঠিত হলো ঝাড়গ্রাম বনাধিকার গ্রাম সভা মোর্চার ৪র্থ বার্ষিক সম্মেলন

The 4th annual conference of the Jhargram Forest Rights Gram Sabha Morcha was held on Friday.

Truth of Bengal: শুক্রবার ঝাড়গ্রাম বনাধিকার গ্রামসভা মোর্চার ৪র্থ বার্ষিক সম্মেলন ঝাড়গ্রাম শহরের একটি প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হলো। ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম এবং বিনপুর ২ ব্লকের ২২টি গ্রাম সভা থেকে প্রায় দুই শতাধিক প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করেন। এছাড়াও পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন গ্রাম সভার প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্তরে বনাধিকার আন্দোলনের নেতা মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলি জেলায় কর্মরত কেশব গুমলে এবং রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত সমাজকর্মী, আইনজীবী ও বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকেন। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন মোর্চার যুগ্ম আহবায়ক চৈতন বেসরা ও মন্টু মুর্মু।

সম্মেলনে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে বলা হয় যে তারা সরকারি সহায়তা না পেয়েও নিজেদের উদ্যোগে নয়াগ্রাম এবং বিনপুর ২ ব্লকে ১১ টি করে মোট ২২ টি গ্রাম সভা আইন অনুযায়ী পঞ্চায়েতের অনুমোদন এবং উপস্থতিতে গড়ে তুলেছেন। গ্রাম সভার পক্ষ থেকে সামুদায়িক এবং ব্যক্তিগত দাবিপত্র মহকুমা শাসককের কাছে এবং সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে জমা করেছেন। জমা করার ৫ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আজও তারা তাদের দাবির কোন আইনি স্বীকৃতি পায়নি।

সম্মেলনে বনাধিকার আইনের পক্ষে এবং আদিবাসিদের, বিশেষ করে লোধা সম্প্রদায়ের বনাধিকারের লঙ্ঘনের প্রতিবাদে সওয়াল করেন সমাজকর্মী ঝর্ণা আচার্য এবং আইনজীবী শান্তনু চক্রবর্তী। এছাড়াও আদিবাসিদের জঙ্গলের জমির ওপর অধিকার নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন ডক্টর মৌসুমি মুর্মু, প্রফেসর গোপিনাথ টুডু, রেণুকা সরেনের মত আদিবাসি সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।

সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়েছে ২৫ এপ্রিল মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হবে। প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে মে মাসে রাজ্য আদিবাসী উন্নয়ন দফতরে এই নিয়ে ডেপুটেশন দেওয়া হবে। কেন্দ্রিয় সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী বন পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে সরকারি যোজনার টাকা সরাসরি গ্রাম সভার খাতে আনার জন্য গ্রাম সভার নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার দাবি জানানো হবে। জঙ্গল বাঁচানো, বিশেষ করে আগুনের হাত থেকে জঙ্গল বাঁচানোর জন্য গ্রাম সভা স্তরে প্রচার চালানো হবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার বিরুদ্ধে গ্রাম সভা থেকে সরকারি আধিকারিকদের কাছে আইন মোতাবেক অভিযোগ করা হবে।

Related Articles