রাজ্যের খবর

তারাশঙ্করের বিশু ডাক্তারের সেবা, দেবদূতের মেধায় সারছে রোগ

Doctor service

The Truth of Bengal: তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জগন্নাথের রথ বা সুখসারি গল্পে এই চিকিত্সকের ত্যাগও নিস্বার্থ সেবার কথা রয়েছে। এমনকি তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘ আমার সাহিত্য জীবনেও এই বিশু ডাক্তারের কথা রয়েছে। একসময় রেলের চাকরি ছেড়ে দিয়ে গাঁয়ের মানুষের রোগ সারানোর শপথ নিয়েছিলেন এই চিকিত্সক।গরিব মানুষের কাছে তিনি হয়ে ওঠেন জীবন্ত ভগবান।১৯৫৩ এ এমবিবিএস পাস করেন।এরপর  ১৯৫৭ থেকে লাভপুরে চিকিত্সার কাজে যুক্ত হন তারাশঙ্করের প্রিয় চিকিত্সক।

কেমন রয়েছে সেই বিশু ডাক্তার ? তাঁর সেবার সংসারের হালচাল কী ? এসব জানতেই আমাদের ক্যামেরা পৌঁছে গিয়েছিল তাঁর অন্দরমহলে। বিশু ডাক্তার, জানিয়েছেন, ৯৫বছর বয়সেও সেবা ধর্মই তাঁর কাছে স্বর্গসুখ। তারাশঙ্করের পরামর্শকে পাথেয় করেই গ্রামবাসীদের এখনও চিকিত্সা করে চলেছেন জনদরদী ডাক্তার।এখনও তাঁর মনে আছে, ডাক্তারি পাশ করে রেলে চাকরি পেয়ে পোঁটলা, বেডিং নিয়ে হাওড়ায় পৌঁছে তারাশঙ্করের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল।

তারাশঙ্করের বিশু ডাক্তার বাড়ির বান্দায় বসে গ্রিলের ফাঁক দিয়েই চিকিৎসা করেন৷ সকাল ও বিকেল মিলিয়ে দিনে গড়ে ৫০ টি রোগী দেখেন এই বয়সে। গ্রামের মানুষের কাছে তিনি ভগবান তুল্য। লাভপুর ছাড়াও আসেপাশের বহু গ্রাম থেকে রোগীরা আসেন তাঁর চেম্বারে। মনিষীরা মনে করেন,জীবনে কিছু করা উচিত সমাজের জন্য,সেবার মাধ্যমে সার্থক করা দরকার এই মনুষ্যজীবনকে। সেই আদর্শ চিকিত্সকের দেখা পেয়ে আমরাও আপ্লুত,চাই রোগীদের ডাকে বর্তমান প্রজন্মের ডাক্তারবাবুরাও এগিয়ে আসুন।শহরের গন্ডি ছাড়িয়ে গাঁগঞ্জে নিস্বার্থ-নিরলস পরিষেবা দিয়ে যান

Related Articles