রাজ্যের খবর

মুখ্যমন্ত্রীর মুখে রিসার্চের কথা, কী নিয়ে গবেষণা হবে ?

Speaking of research in the mouth of the Chief Minister, what will be researched?

The Truth Of Bengal : চা-বাগানের রোজনামচার কথা চা শ্রমিকদের মুখেই শুনেছেন মুখ্যমন্ত্রী।জলপাইগুড়ির চালসার চা –বলয় কার্যতঃ পায়ে পায়ে ঘুরে দেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দুপুরেই চালসায় পৌঁছে যান তিনি। সকাল-সন্ধ্যার মুড নিয়ে আসতে যাঁরা চা উপহার দেন, তাঁদেরই মনের কথা বোঝার চেষ্টা করেন তিনি।

জানতে পারেন, পোকার উপদ্রবে চায়ের আসল সত্বই অনকসময় চলে যায়। যার জন্য চা শিল্প যে ধাক্কা খায় তা সহজ ভাষায় সরল মানুষগুলো মুখ্যমন্ত্রীকে বুঝিয়ে বলেন। উঠে আসে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকার জন্যই এই বাগান শ্রমিকদের জীবনে ছন্দপতন ঘটে।

কারণ কেন্দ্রীয় টি বোর্ডের ২০১৫-র নির্দেশিকার পরই এখানকার বাগান বন্ধ হয়। পোকামাকড়ের উপদ্রবের পরই নেমে আসা খাঁড়া।

১০লাখ শ্রমিকের রুটি রুজি হারিয়ে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী সেকথা শোনার পর চা শ্রমিকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। আশ্বাস দেন,সবুজ বাগিচার সমস্যার শিকড়ে পৌঁছাতে গবেষণা হবে। তবে এখন ভোট চলছে,ভোট মিটলে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলোচনা করেই গবেষণার মতও পথ ঠিক হবে।

পরিসংখ্যান বলছে, চালসায় রয়েছে প্রায়  ১০ লাখ চা শ্রমিক  । যাঁরা প্রায় ৫ বিঘা জমি নিয়ে চা চাষ করেন।ছোট ছোট বাগানেই চাষ হয়।বড় বাগানে ২৫০ থেকে ৫০০একর জমিতে চাষ হলেও এখানে ৫বিঘেতেও চায়ের চাষ হয়।

মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন বাগানের চা কিনে নেয় চা পাতা  প্রস্তুতকারক কারখানাগুলো। এখন ভোট চলছে,ভোট মিটলেই এই চা উত্পাদন আর বিক্রিবাটার মাঝে কালো ছায়া সরানোর চেষ্টা হবে।

গবেষণায় যে সারসত্য মিলবে তা  সবুজ চা বাগানের বিকাশের স্বার্থে কাজে লাগানো যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন।

তাই চা শিল্পের সূর্যোদয়ের অপেক্ষায় উত্তরবঙ্গের মানুষ।

 

Related Articles