প্রবল জলস্রোতের মধ্যেই সিকিমে ব্রিজ তৈরী সেনার,রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চালু হেল্প ডেস্ক
Sikkim built bridge amid strong current

The Truth of Bengal: টানা বৃষ্টি বন্ধ হলেও বৃষ্টি কিছুতেই থামছে না।যারজন্য এখনও বেশ কিছু এলাকায় নামছে রাস্তায় ধস।বিধ্বস্ত সিকিমের সংস্কার থেকে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়াররা চালু করেছেন সাসপেনশন ব্রিজ।পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার চালু করেছে হেল্প ডেস্ক। কালিম্পঙে চালু করা হয়েছে এই হেল্প ডেক্স।যার সাহায্য নিয়ে বহু পর্যটক অবরুদ্ধ জাতীয় সড়ক ছেড়ে বিকল্প পথ দিয়ে ফিরে আসতে পেরেছেন। লাগাতার বৃষ্টি বন্ধ এখন আর হচ্ছে না।তবে প্রায়শই বৃষ্টি হচ্ছে।যারজন্য ধস নামছে এখনও।বৃষ্টি আর ধসের ধাক্কা সামলে এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারেনি সিকিম।সেখানকার প্রশাসন ত্রাণ ওউদ্ধারকাজে সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।সিকিমের বাসিন্দাদের মতোই কিভাবে পর্যটকরা সুস্থভাবে ফিরে আসতে পারেন তার জন্য বিকল্প পথ বের করেছে তারা।যেহেতু ১০নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে স্বাভাবিক যান চলাচল করছে না তাই, লাভাও গরুবাথান দিয়ে পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
সিকিম সরকারের সঙ্গে একযোগে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকায় এই বিকল্প পথ বের করা হচ্ছে।এরমধ্যে লাগাতার বর্ষণে বিধ্বস্ত সিকিমের জন্য একটি সাসপেনশন ব্রিজ তৈরি করেছেন সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়াররা।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেনাবাহিনীর জওয়ানরা তৈরি করছে সাসপেনশন ব্রিজ। সাসপেনশন ব্রিজ তৈরি হলে কিছুটা হলেও সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে যারা পর্যটক রয়েছে তারা যাতায়াত করতে পারবে এই ব্রিজ দিয়ে।খরস্রোতা নদীর ওপর সেই সেতুই এখন বড় ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে পর্যটকদের কাছে। যেহেতু মাঝে মধ্য বৃষ্টি হচ্ছে সিকিমে,তাই ধস বা ভূমিক্ষয় জনিত আপত্কালীন পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেওয়া হবে তা সিকিম প্রশাসন নজর রাখছে।
রাজ্যের বহু পর্যটক এখনও সিকিমে আটকে রয়েছে।তাঁদের উদ্ধারের কাজে রাজ্য সরকার চালু করেছে হেল্পডেস্ক। কালিম্পঙের জেলাশাসকের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পর্যটকদের উদ্ধারের কাজে একটি হেল্পডেস্ক চালু করা হয়েছে। সাহায্যের জন্য দুজন আধিকারিকের ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে।নম্বর দুটি হল-৮৭৬৮০৯৫৮৮১ এবং ৯০৫১৪৯৯০৯৬। সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই হেল্প ডেস্ক চালুর নির্দেশ দেন। ভারী বৃষ্টিপাত এবং একের পর এক ধসের জেরে বিপর্যস্ত সিকিম এখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।যার মূল লক্ষ্য পর্যটন নির্ভর অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখা যায়।সেজন্য দুর্যোগ কাটলে তাঁরা পরিকাঠামোর সার্বিক পুনর্গঠনে নজর দিতে চায় বলে সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে।