
Truth Of Bengal : কামড় বসাচ্ছে স্ক্রাব টাইফাস। মেদিনীপুরের গুড়গুড়িপালের এলাবনী গ্রামে বছর ১৫-র এক কিশোরী পড়ুয়ার মৃত্যু হল এই রোগে আক্রান্ত হয়ে। এর আগে বসিরহাটে এক ৮ বছরের শিশু আক্রান্ত হয়। মূলতঃ পরজীবী পোকা থেকেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে।সাধারণতঃ বর্ষার সময় এই রোগের প্রার্দুভাব দেখা যায়।জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ রোগ নিয়ন্ত্রণে তত্পর রয়েছে।
স্ক্রাব টাইফাসে এক কিশোরীর মৃত্যুতে আতঙ্ক বাড়ল মেদিনীপুরের গুড়গুড়িপাল এলাকার।মৃত কিশোরীর বাড়ি এলবানী গ্রামে।বছর ১৫-র কিশোরী ক্লাস নাইনে পড়ত।স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে জানা গেছে,গত ৩রা সেপ্টেম্বর থেকে রোগে আক্রান্ত হয় কিশোরী।তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। পড়ুয়াকে বাঁচানোর শত চেষ্টা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।বুধবার তার মৃত্যু হয়। মৃতের নাম মৌমিতা বেরা। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।রোগের প্রার্দুভাব দেখা যাওয়ায়, সাধারণ মানুষ কিছুতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
কী এই স্ক্রাব টাইফাস? কেন হয় এই রোগ? স্ক্রাব টাইফাস শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ টাইফাস থেকে, যার মানে হল ধোঁয়াটে।আসলে পরজীবী পোকা থেকে এই রোগ ছড়ায়।পরজীবী পোকাটি, এঁটুলি পোকার মতো দেখতে। ট্রম্বিকিউলিড মাইটস এর মতো পরজীবী পোকার কামড় থেকে এই রোগের জীবাণু যেকোনও মানুষের শরীরে ছড়ায়।সাধারণতঃ ঝোপঝাড়ে এই পোকা লুকিয়ে থাকে।তারপর ঝোপঝাড় থেকে বেরিয়ে এসে কামড় দেয়। রোগের লক্ষ্নণ হিসেবে দেখা যায়, মাথাব্যথা, অত্যধিক জ্বর, গা ব্যথা।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আরও জানান, সাধারণত জঙ্গল অধ্যুষিত এলাকায় এই ধরণের পোকা পাদুর্ভাব রয়েছে। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করলে এই জীবাণু দ্বারা অসুস্থতা রোধ করা সম্ভব। অবহেলা করলে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্তের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। শুক্রবারই ওই এলাকায় ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি মেডিক্যাল টিম গিয়ে গ্রামবাসীদের এবিষয়ে সচেতন করে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি জেলা জুড়ে প্রত্যেকটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বার্তা পাঠানো হয়েছে, এ ধরনের কোন উপসর্গ দেখলে তৎক্ষণাৎ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসার।