বানিজ্য সহায়ক কার্গো টার্মিনালের উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা
Cargo Terminal in Andal

The Truth of Bengal: কলকাতা–বাগডোগরা বিমানবন্দর রয়েছে। তৈরি হচ্ছে মালদা,বালুরঘাট বিমানবন্দর। অন্ডালে চালু হল কার্গো টার্মিনাল। এই সব কিছুর একটাই লক্ষ্য,সড়কপথ-রেলপথের মতোই আকাশপথেও শিল্প-বাণিজ্যের প্রসার ঘটানো। যাতে মুক্ত বাণি্জ্যের মানচিত্রে উজ্বল হয় এই বাংলা।সেই মুক্ত আকাশ পথের সূচনা ২০১৩তে শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সম্ভাবনাময় বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেছিলেন। সেই বিমানবন্দর এখন আড়ে-বহরে যেমন কার্যকরী রূপ নিচ্ছে তেমনই যাত্রী পরিবহণের মতোই পণ্য পরিবহণেও আলাদা সংযোজন ঘটাচ্ছে। একের পর এক উড়ান সংখ্যা বেড়েই চলেছে অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর থেকে।
যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে ধীরে ধীরে অন্তর্দেশীয় বিমান চলাচলে সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে শিল্পাঞ্চলের এই বিমানবন্দর থেকে। যাত্রী সুবিধার জন্য চালু করা হয়েছে একাধিক বিমান পরিষেবা।এখন কেরলের তিরুবনন্তপুরম থেকে দিল্লি সর্বত্র যাওয়া যায়। গত ২৭ মার্চ থেকে অন্ডালের কাজী নজরুল বিমানবন্দর থেকে সরাসরি যুক্ত হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত। অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে আসামের গুয়াহাটির একটি বিমান পরিষেবা চালু করা হয়েছে। এবার আকাশ পথে পণ্য পরিবহনের গতি আনতে দুর্গাপুরের অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে শুরু হল আকাশপথে পণ্য পরিষেবা।সোমবার সেই পণ্য টার্মিনালের উদ্বোধন করেন রাজ্যের শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী শশী পাঁজা।
বাংলার আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী ঝাড়খন্ড এবং বিহারের বিস্তীর্ণ এলাকার ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবেন এর থেকে। শশী পাঁজা আরও বলেন, অন্ডাল বিমানবন্দর কে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করার লক্ষ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন মাফিক কাজ চলছে। কার্গো টার্মিনালটি অত্যাধুনিক মানের পরিকাঠামোয় সমৃদ্ধ।তাই পশ্চিমবর্ধমানের খনি অঞ্চল থেকে শস্যগোলা বর্ধমান, ব্যবসার মানচিত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে আশা শিল্পমহলেরও। বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ থেকে পণ্যপরিবহণের আর্ন্তজাতিকীকরণ সবের বিকাশ বাংলার শিল্পায়নের গতি বাড়াচ্ছে বলে অনেকের অভিমত।