সীমান্তে পুলিশের গুলিতে নিহত ফেরার বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক আলম
Returning undertrial prisoner Sajjak Alam killed in police firing at border

Truth of Bengal: পুলিশের গুলিতে নিহত ফেরার বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক আলম। গত বুধবার সাজ্জাক ইসলামপুর আদালতে শুনানির পর রায়গঞ্জ কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ফেরার পথে প্রিজন ভ্যান থেকে পালিয়ে যায়। গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়ার কাছে শৌচকর্মের অজুহাতে ভ্যান থেকে নামার পরই দুই পুলিশকর্মীর ওপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায় সে। এরপর একটি বাইকে চেপে পালিয়ে যায় সাজ্জাক।
শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ যে সাজ্জাক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করছে। সেই অনুযায়ী পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সাজ্জাক পালানোর চেষ্টা করে। পালানোর সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সে। পুলিশের দাবি, তারপরই তাকে আটকানোর জন্য গুলি চালানো হয়, যাতে সে গুরুতর আহত হয়। এরপর দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
সাজ্জাক আলম কালিয়াচকের এক পোলট্রি ফার্ম মালিক খুনের মামলার প্রধান অভিযুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে সে রায়গঞ্জ সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দি হিসেবে ছিল। গত বুধবার ইসলামপুর আদালতে শুনানির জন্য তাকে আনা হয়। শুনানি শেষে প্রিজন ভ্যানে করে তাকে রায়গঞ্জ কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
পথে গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়ার একরচালা কালীমন্দিরের কাছে সাজ্জাক শৌচকর্মের জন্য নামার অনুরোধ করে। অভিযোগ, প্রিজন ভ্যান থেকে নামার পর সে দুই পুলিশকর্মীর দিকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় এবং এরপর একটি বাইকে চড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সাজ্জাকের মাথার দাম দুই লক্ষ টাকা ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার আহত দুই পুলিশকর্মীকে দেখতে যান রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তিনি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাজ্জাককে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন এবং পুলিশের ওপর ১টা গুলি চালালে তার পাল্টা ৪টা গুলি চালানো হবে হুঁশিয়ারি দেন।
তবে এই নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের এনকাউন্টারে সাজ্জাক নিহত হয়। তাকে পালাতে সাহায্যকারী আবাল এখনও পলাতক। যদিও পুলিশ তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে।