রাজ্যের খবর

বৃষ্টি বাড়তেই নৌকার চাহিদা বাড়বে বলে আশায় রায়গঞ্জের ব্যবসায়ীরা

Rai Gang boat business

The Turth of Bengal: স্রোতসিনী নদীর ওপর বয়ে চলা নৌকা আর তার কাণ্ডারীকে ঘিরে হাজারো ভাটিয়ালি গান আছে।যাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারপার করেন,যাঁদের জীবন চক্র এই নদীর প্রবাহের সঙ্গে জড়িয়ে আছে,তাঁরা কেমন আছেন ? কি সমস্যা রয়েছে তা দেখতেই আমারা গিয়েছিলাম রায়গঞ্জে।কারণ হুগলির বলাগড়ের মতোই রায়গঞ্জেও পরম্পরা মেনে এখনও নৌকো তৈরি হয়।এখানকার নৌকো শিল্পকে ঘিরে বহু মানুষের পেট চলে।মাঝিরাও তাই বর্ষার মরসুমে কাঠের নৌকার বরাত দেন।নদীর জল বাড়লেই ডাক পরে তরীর।যাঁরা তরী তীরে ভেড়াবেন তাঁরা শক্ত নৌকা খোঁজেন।

গ্রামগঞ্জ থেকে প্রচুর মানুষ এখানে এসে নৌকা সংগ্রহ করেন। কিন্তু এবছরে এখনও পর্যন্ত  নৌকোর বায়না সেভাবে দেয়নি তাঁরা।বড় নৌকোর থেকে ছোট নৌকোর কদর বেশি বলেও নৌকো ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন। যাঁরা দাঁড় বেয়ে মানুষকে এপার-ওপার করবেন তাঁরাও নৌকোর অর্ডার দিচ্ছেন। বলছেন,বৃষ্টি বাড়লেই  এই কাঠের নৌকোর চাহিদা বাড়বে।কেউ কেউ আগে ভাগে বন্যার আশঙ্কায় নৌকা কিনে রাখছেন। তাদের বক্তব্য জল অল্প অল্প করে বাড়ছে।

কিন্তু এর মাঝে হঠাৎ একনাগারে বৃষ্টি হলে জল  বাড়বে। তখন সময় পাওয়া যাবে না। তাই জলমগ্ন এলাকার সাধারন মানুষকে পারাপার করাতে নৌকা কিনতে আসছেন তাঁরা।রায়গঞ্জে রামপুর ব্রিজ তৈরি হলে তথন নৌকোয় পারপারের প্রবণতা ছেড়ে মানুষ সেতুকেই ব্যবহার করবেন।আপাতত নদী পারপার ঠিক রাখতে প্রশাসন সবরকম সহযোগিতা করছে।নৌকো শিল্পের উন্নয়নে প্রসাসনের কর্তারা সাহায্যের হাত আরও বাড়িয়ে দিক চাইছেন নৌকো কারিগর থেকে যাত্রী সকলেই।