লোকসভার আগে ব্রিগেডের সভা থেকে বঞ্চনা ইস্যুতে সোচ্চার হতে চান দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Party leader Mamata Banerjee wants to speak on the issue of deprivation from the brigade meeting before the Lok Sabha.

The Truth Of Bengal : লোকসভার আগে ব্রিগেডের সভা থেকে বঞ্চনা ইস্যুতে সোচ্চার হতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন বাংলাকে টাকা দেওয়া হবে না,কি অপরাধ রাজ্যের জবকার্ড হোল্ডারদের ? এর জবাব মেগা সভা থেকে তুলতে চান তৃণমূল স্তরের মানুষ। মঙ্গলবার ডিপি বদল করে জনগর্জন সভা নিয়ে বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাক দিয়েছেন,বহিরাগত অত্যাচারীদের গর্জে ওঠার জন্য ১০মার্চের সভা থেকে লোকসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চব্বিশের ভোটে বড় ইস্যু কেন্দ্রীয় বঞ্চনা।এবার সেই বাংলাকে বঞ্চনার বিরুদ্ধে ব্রিগেডে মেগাসভা তৃণমূল কংগ্রেসের। মমতা বন্দ্যপাধ্যায় পরিস্কার করে দিয়েছেন বাংলা ভিখারী নয়।সাধ্যমতো জবকার্ড হোল্ডারদের ৫০দিন কাজ দিচ্ছে,দিচ্ছে ৫০হাজার মানুষকে প্রাপ্য মজুরি।তবু বাংলা থেকে করের সবটাই তুলে নিয়ে যাওয়ার পরেও কেন এই বঞ্চনা,সেই প্রশ্নই ব্রিগেড থেকে তুলতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিকবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজ্যের একশদিনের কাজের জবকার্ড হোল্ডার বা বঞ্চিত মানুষ সভা,অবস্থান,বিক্ষোভ করেছেন।কখনও দিল্লি কখনও কলকাতার রাজভবনের সামনে গণ-অবস্থান হয়। গান্ধীবাদী আন্দোলনেও কেন্দ্রের টনক নড়েনি। কোনও টাকাই দেওয়া হয়নি।১লক্ষ ১৬হাজার কোটি টাকা না দিয়ে বিজেপি শুধুই বেনিয়মের কথা বলে।অথচ ১২৫টা টিম পাঠিয়েও কেন বেনিয়ম ধরতে পারল না কেন্দ্র,সেই প্রশ্ন জনমনে উঠতে শুরু করে।এক মাস দুমাস নয়,প্রায় ৩বছর কাজ করেও শ্রমের সম্মান-অমর্যাদা পায়নি বাংলার মানুষ।বরং খেটেখাওয়া মানুষকে দিল্লির যন্তরমন্তর ও তারপর কৃষিভবন খেকে গায়ের জোরে বের করে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।তাই ফের ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে কেন্দ্রের কাছে জবাব চাওয়ার সভা ডেকেছে তৃণমূল কংগ্রেস।লোকসভার আগে বিজেপি সরকারের রাজনৈতিক রং দেখে প্রাপ্য দেওয়ার নীতির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার ডাকও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।১০মার্চ,সকাল ১১টায় জনগর্জন সভা। মঙ্গলবার নিজের ডিপিতে বিজেপি বিরোধী শিবিরের নেত্রী স্পষ্ট বার্তা দেন, বাংলার প্রতি লাগাতার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা-১০০দিনের কাজ। আবাস যোজনা,রাস্তা,এবং একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের টাকা।অন্যায়ভাবে বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং বহিরাগত অত্যাচারীদের বিসর্জনের অঙ্গীকার নিতে ব্রিগেড চলো।
২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতা দখলের পর নবঅঙ্গীকার করতে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ ব্রিগেডে করেছিল তৃণমূল। এর পরে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেও ব্রিগেড সমবেশ থেকে ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার কথা তুলে ধরা হয়।এবার বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস দিল্লিতে পরিবর্তনের ডাক দিতে চায়। যেহেতু একশদিনের কাজের প্রকল্প বা আবাস যোজনার সঙ্গে জনস্বার্থবাহী ইস্যু জ়ড়িয়ে আছে তাই এই জমায়েত রাজনৈতিক দিক থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লির ক্ষমতার লাগাম ধরে রাখতে বিজেপির দিল্লির নেতারা বাংলায় ৪২এ ৩৫আসনের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন।তৃণমূল কংগ্রেস বলছে,উনিশে ১৮সাংসদ নিয়েও বিজেপি বাংলাকে কিছু দেয়নি।খেটেখাওয়া মানুষকে দিল্লি থেকে খালিহাতে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রশ্ন তুলতেও ইভিএমে জবাব দেওয়ার জন্য গাইডলাইন ঠিক করে দিতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
FREE ACCESS