
The Truth of Bengal: এখন যোগযাগের অত্যাধুনিক মাধ্যমে এসে যাওয়ায় গুরুত্ব কমেছে ডাক বিভাগের। আগের মতো এখন চিঠির ব্যাগ নিয়ে বাড়ি বাড়ি যেতে দেখা যায় না পিওনদের। তবে একটা ক্ষেত্রে ডাক বিভাগের গুরুত্ব আজও অপরিসীম। গ্রামের সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক লেনদেনের জন্য চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করেন পোস্ট অফিসকে। আর সেই কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বীরভূমের নানুর পোস্ট অফিসের পাকুড়হাঁস শাখা পেল বিশেষ সম্মান।
যোগাযোগ ব্যবস্থায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও সামাজিক মাধ্যমের জনপ্রিয়তা বর্তমানে আকাশছোঁয়া হলেও ভারতীয় ডাক বিভাগ এখন কাজ করে চলেছে স্ব-মহিমায়। দেশের চিরন্তন এই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে তাই কেউ অস্বীকার করতে পারে না। গ্রামীণ এলাকার শাখা পোস্ট অফিসগুলির একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এখনও গ্রামের সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক লেনদেনের জন্য চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে ভারত সরকারের ডাক বিভাগকে। আর সাধারণ মানুষের সেই বিশ্বাসের ওপর ভরসা রেখেই এবার বীরভূমের নানুর পোস্ট অফিসের পাকুড়হাঁস শাখা নজির গড়ল জেলা তথা রাজ্যের মধ্যে। বিশেষ ক্ষেত্রে বীরভূম ডিভিশনের সেরা ও কলকাতা রিজিওনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করল সংশ্লিষ্ট শাখা পোস্ট অফিসটি। আর অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে এই বিশেষ কৃতিত্বের জন্য সম্মান পেলেন পাকুড়হাঁস পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার রণজিৎ পাল। এপ্রিল মাসের ১৯ এপ্রিল কলকাতার যোগাযোগ ভবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্মান তুলে দেন স্বয়ং চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল। এছাড়াও ২৭ ও ৩০ এপ্রিল বোলপুর ও সিউড়িতে অনুষ্ঠানে তুলে দেওয়া হয় একাধিক সম্মান-স্মারক ও মানপত্র।
এখন গ্রামগঞ্জের নানা জায়গায় নানা জায়গায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের শাখা। মানুষ সেই সব ব্যাঙ্কের ওপর যেমন নির্ভরশীল, তেমনই বহু মানুষ ডাগ বিভাগ ছাড়া ভাবতেই পারে না। মানুষকে পরিষেবা দিয়ে সেরার সাফল্য অর্জন করল বীরভূমের নানুর পোস্ট অফিসের পাকুড়হাঁস শাখা।