পৌরসভায় আধুনিক নজরদারি, আপত্তি কর্মীদের
Modern surveillance in the municipality, employees object

Truth of Bengal: মাধব দেবনাথ,নদিয়া: নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর পৌরসভায় একাধিক দাবিকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল পৌরসভার সাফাই কর্মীরা। শুক্রবার সকাল থেকেই পৌরসভার গেটের সামনে ও ভিতরে তৃণমূলের আইএনটিটিইউসি-র নেতৃত্বে কনজারভেন্সি বিভাগের সাফাই কর্মীরা পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখান। তাদের মূল অভিযোগ, শুধু তাঁদের ক্ষেত্রেই ফেস আইডি ভিত্তিক বায়োমেট্রিক হাজিরা ব্যবস্থা চালু করে বৈষম্য করা হচ্ছে, যা তারা মানতে নারাজ।
সাফাই কর্মীদের দাবি, শুধুমাত্র তাদের ক্ষেত্রেই এই বায়োমেট্রিক চালুর সিদ্ধান্ত পক্ষপাতমূলক। তাদের মতে, যদি স্বচ্ছতা ও কর্মদক্ষতা যাচাই করতেই বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করা হয়, তবে তা প্রতিটি বিভাগে এবং সকল স্তরের কর্মচারীদের ক্ষেত্রেই চালু করা হোক। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র সাফাই কর্মীদের লক্ষ করে এই ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হলে তা অপমানজনক ও অসঙ্গতিপূর্ণ।
এই দাবিতে শুক্রবার শহরের সমস্ত ওয়ার্ডে সাফাইয়ের কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রেখে কর্মীরা বিক্ষোভে অংশ নেন। এতে শহরজুড়ে সাময়িকভাবে সাফাই সমস্যার সৃষ্টি হয়।
পৌরপতি রীতা দাস অবশ্য এই বিক্ষোভের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। তিনি স্পষ্ট জানান, “আমি সাধারণ মানুষের করের টাকা জলে যেতে দেব না। বারবার কাজে ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাই স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রথম ধাপে সাফাই কর্মীদের দিয়ে এই পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়েছে। ধাপে ধাপে সমস্ত দপ্তরেই বায়োমেট্রিক চালু হবে।”
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কৃষ্ণনগরে রাজনৈতিক চাপানউতোরও তৈরি হয়েছে। শহরের নাগরিকরাও বিষয়টি নিয়ে বিভক্ত— কেউ আধুনিক ব্যবস্থার পক্ষে, কেউ আবার কর্মীদের দাবির সমর্থনে।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আগামী দিনে পৌরসভা ও কর্মীদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে আপাতত কৃষ্ণনগর পৌরসভায় সাফাই বিভাগে অস্থিরতা অব্যাহত।