রাজ্যের খবর

সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জের ডাকাতে কালীর পুজো,কালীর মহিমা সর্বজন বিদিত

Kalipujo 2023

The Truth of Bengal: কৃষ্ণগঞ্জের ডাকাতে কালীর মহিমা সর্বজন বিদিত।মায়ের চরণে জবা দিয়ে অনেকেই আসেন আর্শীবাদ নিতে।কথিত আছে, একদল ডাকাত পুজো করতেন মা কালীর, সেই থেকেই এই কালীর নাম ডাকাতে কালি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এই পুজো ১০০ বছরেরও বেশি পুরোনো। এখানে দেবী রক্ষাকালী রূপে এবং পুজো করা হয় শাক্ত মতে। সেই কারণে বলি প্রথার চল এখনও রয়েছে। পুজোর ভোগে নিরামিষ খিচুড়ি, একাধিক ভাজা, তরকারি, ফল, মিষ্টি থাকে। নানা উপাচারে জাগ্রত দেবীর মন পাওয়ার চেষ্টা করেন ভক্তরা।প্রাচীন এই পুজোকে ঘিরে আজও একাধিক পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে।

জানা যায় স্বাধীনতার আগে গ্রামবাসীরা অভাব অনটনেই দিন কাটাতো। দুবালা দুমুঠো খাবার জোগাড় করা ছিল দুঃসাধ্য। সে  সময় গ্রামের কয়েকজন যুবক সিদ্ধান্ত নেয় তারা ডাকাতি করবে।   রাতে হঠাৎই খবর আসে ব্রিটিশদের একটি মালবাহী ট্রেন যাচ্ছে ঢাকার দিকে। ওই ট্রেনে রয়েছে একাধিক খাদ্য সামগ্রী। মাজদিয়ার ইছামতি ব্রিজের ওপর মালবাহী ট্রেন যাওয়ার সময় লণ্ঠনের আলো দেখিয়ে ট্রেনকে দাঁড় করিয়ে ট্রেনের সমস্ত সামগ্রী লুট করা হয়।

এই খবর পৌঁছে যায় ব্রিটিশ বাহিনির কাছে এর পরেই ডাকার দলটি আশ্রয় নেয় জঙ্গলে। পরে ডাকাতরা সেই সমস্ত লুট করা খাদ্য সামগ্রী গ্রামের মানুষদেরকে বিলিয়ে দেন।   ব্রিটিশ বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার ভয়ে তাঁরা জঙ্গলে   কাটাতে থাকেন। এরপর ব্রিটিশ বাহিনীর   ফিরে যাওয়ার পরের দিনই অমবস্যায় তাঁরা পুজো শুরু করেন কালীর।শতাধিক বছরের রীতি মেনে  মাজদিয়া ঘোষপাড়ার ডাকাতে কালীর পুজো   চলে আসছে।এখন এই সর্বজনীন পুজো আলোর উত্সবকে আলাদা আঙ্গিক দিয়েছে।

free Access

Related Articles