রাজ্যের খবর

মাধ্যমিকে পিছিয়ে জলপাইগুড়ি, উদ্বিগ্ন শিক্ষামহল

Jalpaiguri lags behind in Madhyamik, education community worried

Truth Of Bengal: মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল আবারও হতাশ করল জলপাইগুড়ি জেলাকে। রাজ্যের অন্য জেলাগুলির তুলনায় পাশের হারে আবারও সবার শেষে জায়গা করে নিল এই জেলা। শুধু তাই নয়, রাজ্য স্তরের মেধা তালিকাতেও প্রথম দশে জলপাইগুড়ির কোনও পড়ুয়ার নাম নেই। জেলার অভ্যন্তরীণ মেধা তালিকাতেও জেলা সদর থেকে মাত্র চারটি স্কুল এবং প্রথম পনেরো জনের মধ্যে মাত্র পাঁচ জন পড়ুয়া স্থান পেয়েছে। ডুয়ার্স অঞ্চলের কোনও স্কুলই মেধা তালিকায় নেই।

পর্ষদের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জলপাইগুড়ির পাশের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬৯.৪৭ শতাংশে, যা রাজ্যের মধ্যে সর্বনিম্ন। আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং সহ প্রতিবেশী জেলাগুলিতে পাশের হার ৭০ শতাংশের ঊর্ধ্বে থাকলেও, জলপাইগুড়ি সেই মানদণ্ডে পৌঁছতেই পারেনি।

এই ফলাফলের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই দায়ী করা হচ্ছে ডুয়ার্সের চা বাগান সংলগ্ন এলাকার শিক্ষাব্যবস্থাকে, যেখানে স্কুলছুট এবং শিক্ষকের ঘাটতি প্রকট। তবে প্রশ্ন উঠছে জেলা সদর নিজেও কেন পিছিয়ে পড়ছে? একাধিক শিক্ষকের দাবি, ‘উৎস্যশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে বহু শিক্ষক অন্য জেলায় বদলি হয়ে গেছেন, যার প্রভাব পড়েছে পড়াশোনার গুণমানের ওপর।

জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক বালিকা গোলে জানিয়েছেন, “স্কুলগুলিকে আরও মনোযোগী হতে হবে এবং পড়ুয়াদের উন্নতিতে নজরদারি বাড়াতে হবে।” শিক্ষাবিদেরা বলছেন, বারবার এমন ফলাফলের প্রভাব শুধু শিক্ষাক্ষেত্রে নয়, ভবিষ্যতে জেলার সংস্কৃতি ও সমাজজীবনেও গভীর ছাপ ফেলবে।

জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল, সোন্নাউল্লা হাইস্কুল, সুনীতিবালা বালিকা বিদ্যালয়, আশালতা বসু বিদ্যালয়ের কয়েকজন পড়ুয়া কিছুটা মান রেখেছে বটে, তবে ধূপগুড়ি ও ময়নাগুড়ির স্কুলগুলিই জেলার মেধা তালিকায় প্রাধান্য পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—জেলার শিক্ষাব্যবস্থার হাল ফেরাতে আগামী দিনে কী পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন ও পর্ষদ?

Related Articles