সবুজের সংসারে উদ্ভাবনী সৃষ্টি, গাছ লাগানো কাজ শুরু করল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ
Jaldapara National Park Authority started planting trees

The Truth of Bengal: সবুজের সংসারে উদ্ভাবনী সৃষ্টি।এবার গাছের উপর গাছ লাগানোর কাজ শুরু করল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। যার পোশাকী নাম ট্রি টপ প্ল্যান্টেশন। এ যেন উত্তরবঙ্গে সবুজ বিপ্লবের ভাবনাকে সার্থক করার অন্যরকম ভাবনা। অরণ্য সভ্যতার এতে আরও প্রসার ঘটবে বলে মনে করছেন অনেকে।
মাটিতে না পুঁতে গাছের চারা বসানো হচ্ছে উচুঁ গাছের উপর। গাছের ওপর বেঁচে বর্তে থাকবে আরও একটি গাছ। পাখি সহ বন্যপ্রাণীদের খাদ্য ভাণ্ডার বাড়াতে এই পদক্ষেপ। যার পোশাকী নাম ট্রি টপ প্ল্যান্টেশন।সবুজের সংসার বাড়িয়ে সবুজায়নের এই অভিনব ভাবনা নিয়েছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। কেন এই অন্যরকম ভাবনা ? কেন বড় গাছের ছায়ায় ছোট ছোট গাছ লালনপালনের চিন্তাধারা ? আসলে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, ডুমুর, বট, অশ্বত্থ ও পাকুড় গাছের চারাগুলি সামান্য বড় হলেই তাদের মুড়িয়ে খেয়ে নেয় তৃণভোজীরা।
তাতে তাঁদের অস্তিত্ব সঙ্কট দেখা দেয়। তাই মাটির কাছাকাছি তাদের না রেখে গাছের ডালেই চারা রোপন করে এইসব ফিকাস প্রজাতির গাছকে বাঁচানোর ভাবনা নেওয়া হয়েছে বলে জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষের সদস্যরা মনে করছেন।সবুজায়নের লক্ষ্যে এবারে ভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। ট্রি টপ প্লান্টেশন এর মধ্য দিয়ে সবুজ বিপ্লব ঘটতে চলেছে বলে দাবি বনকর্তাদের।
প্রথমে বনদফতরের নিজস্ব নার্সারিতে ডুমুর, বট, অশ্বত্থ ও পাকুড়ের চারা তৈরি করা হয়। তারপর মাটির সঙ্গে প্রয়োজনীয় সার মিশিয়ে ওই চারাগুলিকে চটের থলেতে মুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরিবেশের কথা ভেবে ব্যবহার করা হয়নি প্লাস্টিকের ব্যাগ। ফল হয় না এমন উঁচু গাছ নির্বাচন করে গাছের চারাগুলিকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে গাছের ডালে। প্রাথমিক ভাবে জলের অভাবে যাতে চারাগুলো মরে না যায়, তার জন্যে বেছে নেওয়া হয়েছে বর্ষাকালকে।
বর্ষাকালেই পালিত হয় বন মহোৎসব। এই উপলক্ষে বর্ষাকাল জুড়ে ট্রি টপ প্লান্টেশন করা হল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বিভিন্ন প্রান্তে। আশা, অদূর ভবিষ্যতে ওই আশ্রয় দেওয়া গাছগুলিকে মেরে দিয়ে এক সময় মহীরুহ হয়ে উঠবে ছোট গাছগুলো। তাতেই বনের খাদ্যভাণ্ডার ফের সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে।