উপ-নির্বাচনের আগে কী শিবির বদল করছেন জন বার্লা? জল্পনা তুঙ্গে
Is John Barla changing sides before the by-election? Speculation is rife

Truth Of Bengal: উপ-নির্বাচনের আগে কী শিবির বদল করছেন জন বার্লা ? তৃণমূল নেতা দুলাল দেবনাথও দীপেন প্রামাণিকের সঙ্গে বৈঠকের পর এই জল্পনা জোরদার হচ্ছে। কিছুদিন আগে জনের বোন মেরিনা কুজু তৃণমূলে যোগ দেন।মাদারিহাটের ভোটের আগে রাজনীতির পার্টিগণিতের হিসেব বলছে, হাওয়া ঘুরছে বুঝেই টিম বার্লা আর মনোজ টিগ্গাকে জমি ছাড়তে নারাজ। শাসক-বিরোধী দুই শিবিরের টাগ অব ওয়ারে চড়ছে ভোটযুদ্ধের পারদ।
ডুয়ার্সে বিজেপির ডামাডোল চরমে। চা বলয়ে একের পর এক গেরুয়া সেনা শিবির বদল করছেন। কয়েকদিন আগে জন বার্লার বোন মেরিনা কুজু পদ্মের সংস্রব ত্যাগ করেন। মাদারিহাটের উপ-নির্বাচনের আগে জোরদার জল্পনা, বিজেপির বিদ্রোহী নেতা জন বার্লাও শিবির পরিবর্তন করতে পারেন। লোকসভায় টিকিট বিলি নিয়ে টক্করের পরই মনোজ টিগ্গার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বার্লা। এতদিন ঠান্ডা যুদ্ধে সামিল হওয়ার পর এবার কি তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়ে হাওয়া গরম করতে চাইছেন?
উত্তরবঙ্গের গেরুয়া শিবিরের ঘরোয়া কলহের মাঝেই জন বার্লার সঙ্গে আলোচনা করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দুলাল দেবনাথ ও দীপেন প্রামাণিক। দুই দূতের মাধ্যমে কী অন্য কোনও বার্তা পৌঁছলো ঘাসফুল শিবিরে? বেসুরো বার্লার কণ্ঠে শোনা যায়, ওয়ানম্যান আর্মির কথা। নিশানায় কি তাহলে মনোজ টিগ্গা?
জন বার্লা শিবির বদল করলে রাজনৈতিক সমীকরণ পরিবর্তন হতে পারে। রাজনীতির চড়াই-উতরাইয়ের মাঝে সেই সম্ভাবনার কথাই উঠে আসছে ডুয়ার্সের চা বলয়ে। মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে বানারহাট ব্লকের দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত– বিন্নাগুড়ি ও সাকোয়াঝোরা। এনিয়ে জন বার্লা বলেন, “মাদারিহাট উপনির্বাচনে আমার দু’দিকে দুই ভাই। একদিকে গোর্খা, অপরদিকে আদিবাসী। আমি ময়দানে নামলে গোর্খা আদিবাসী রাগ করবে। ২৬-এ নির্বাচন আছে, ওদেরকে যদি খেপিয়ে দিই, তাহলে ওরা আমাদের কীভাবে ভোট দেবে?”
আসলে নাম না করে মনোজ টিগ্গাকে তুলোধনা করেন জন বার্লা। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যাঁরা জন বার্লার সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন, সেই দুলাল দেবনাথ ও দীপেন প্রামাণিক-সহ জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, এটি রাজনৈতিক সৌজন্য। জন বার্লা তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়নের রাজনীতিতে সামিল হবেন কিনা, সেটা ঠিক করবে জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব। তাই বার্লার টিগ্গা বিরোধী বাউন্সারের ঝাঁজ বাড়ায় বিরোধী শিবিরে ভাঙনের আঁচ মিলছে বলে উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।