রাজ্যের খবর

জলস্তর বাড়াতে বাংলার জল ধরো জল ভরো, জল সংরক্ষণের ফলে বাড়ছে সেচের সুবিধা

Irrigation facilities are increasing as a result of water conservation

The Truth of Bengal: ভূগর্ভস্থ জলের বেহিসাবি ব্যবহারে নামছে জলস্তর।এত দ্রুত জল নামছে যে জলের খরা জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলতে পারে।কেউ কেউ বলেন,তেলের জন্য যেমন যুদ্ধ লাগে তেমনই আগামীতে জলের জন্য যুদ্ধ বাঁধতে পারে। বিশ্বজোড়া সমস্যার গভীরে ঢুকে বাংলার সরকার তাই জল সংরক্ষণে বেশি জোর দেয়।২০১১-১২তে “জল ধরো-জল ভরো” নামে একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল বৃহৎ পরিসরে বৃষ্টির জল সংগ্রহের মাধ্যমে  জল সম্পদের উন্নতি করা। এবং ক্ষুদ্র সেচ কাঠামোর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জলসম্পদ তদন্ত ও উন্নয়ন বিভাগ সমস্ত ধরণের জলাশয় যেমন, পুকুর, জলাশয়, খালগুলি পুনঃখননের জন্য এই কর্মসূচির অধীনে একটি প্রধান ভূমিকা নিয়েছে। ছাদে বৃষ্টির জল সংগ্রহের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ জলের জোগান বাড়ানোর উপরও জোর দিচ্ছে প্রশাসন। চেক ড্যাম, ওয়াটার হার্ভেস্টিং ট্যাঙ্ক এবং সারফেস ফ্লো মাইনর সেচ স্কিমগুলি যা সেচের সম্ভাবনাকে ব্যবহার করে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কৃষি ছাড়াও এই ধরনের জলাশয়ে মৎস্য চাষের কার্যক্রম গড়ে উঠছে যা দরিদ্র কৃষকদের জন্য আয়ের আরও পথ খুলে দিচ্ছে।  রাজ্যের তথ্য বলছে,২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে মাঝারিও ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের অধীনে সংস্কার করা হচ্ছে।যারজেরে ৬০হাজারের বেশি জমি সেচের আওতায় এসেছে।চাষযোগ্য করে তোলা হয়েছে,বাঁকুড়া,পুরুলিয়া থেকে পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক জেলার জমি।ময়ূরাক্ষী রিজার্ভার প্রজেক্ট,তিস্তা ব্যারেজ প্রজেক্ট, কংসাবতী রিজার্ভার প্রজেক্টের মা্ধ্যে ক্যানালের সংস্কার বিস্তীর্ণ অংশের চাষের সুবিধা করে দিচ্ছে।

  • ২০২৩-২৪ বছরে ২৩৬কিমি নদীপাড়ের ক্ষয় রোধ হয়েছে
  • খনন করা হয়েছে ৩৯২ কিলোমিটার নদী খালের
  • ২০২৩-এর বর্ষাঋতুতে নদীখালের সংস্কার ৬৪৩কিমি
  • মালদা-মুর্শিদাবাদে ১২.৭৪কিমি নদীপাড়ের ভাঙন রোধ

বহুমুখী উদ্দেশ্যসাধনের জন্য রাজ্য সাধ্যমতো নদী-খাল,বিলের সংস্কার করছে।একইসঙ্গে বিশ্বব্যাঙ্কের সহযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গ মুখ্য সেচও বন্যা নিয়ন্ত্রণের আওতায় ৭৫কিমি নদীপাড় উঁচু করা হচ্ছে। নদীর ড্রেজিং এবং ১০৮কিমি খালের সংস্কার ও ৬৪০কিমি সেচখালের বিস্তার পঁচিশের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে।সামগ্রিক প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২,২৯৫কটি টাকা।কেন্দ্র ১০০দিনের টাকা বকেয়া রাখায় রাজ্য নিজস্ব অর্থও সম্পদ কাজে লাগিয়ে উদ্ভাবনী মাটির সৃষ্টি প্রকল্প নেয়।তাতে একদিকে যেমন জমির উর্বরতা বাড়ছে তেমনই আবার সেচের সুবিধাও বাড়ছে।প্রশাসনের তথ্য বলছে,রাজ্যের ৮৯টি নতুন জায়গায় প্রায় ৮,৫৮৮একর জমিতে ১৫৬টি সেচ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।যার জন্য জলসম্পদের ভান্ডার বাড়ছে,সেচসেবিত হচ্ছে ১,৪০৯হেক্টর জমি। এখানেই শেষ নয়,জলতীর্থ প্রকল্পের আওতায় দুই ২৪পরগনা.দার্জিলিং,কালিম্পং সহ একাধিক জেলার খরাপ্রবণ এলাকা সেচের আওতায় এসেছে।

Related Articles