
The Truth of Bengal: পুকুর ভরাট করে রাতারাতি জমি সমান করে দিয়েছিল মালিকপক্ষ। অভিযোগ পেতেই ঘটনাস্থলে আসে ভূমি সংস্কার দফতর। সবকিছু খতিয়ে দেখে অবিলম্বে সেই মাটি তুলে ফেলে পুকুরটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের বাগরোল গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোতুলপুর ব্লকের বাগরোল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পুকুরটি আছে। নথিপত্র অনুযায়ী ওই পুকুরের জমির পরিমাণ ৩ একর ২০ শতক। বড়সড় আকারের এই পুকুর শুধু এলাকার মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার্য ছিল তাই নয়, এই পুকুরের জল ব্যবহার করা হতো এলাকার বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে। কয়েক বছর আগে পুকুরের একটা বড় অংশ বিক্রি হয়ে যায়।
সামান্য বাকি অংশ থেকে যায় আগের মালিকের হাতেই। সম্প্রতি স্থানীয়রা দেখেন বাইরে থেকে মাটি এনে রাতারাতি ভরাট করে পুকুরের জমি সমান করে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই পুকুরের সেই অন্য অংশের মালিক নিতাইচন্দ্র রায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভূমি সংস্কার দফতর সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগ পুকুরের একটা বড় অংশ কিনে মুজিবর রহমান খান নামের এক ব্যক্তি তা ভরাট করে দিয়েছেন। একই অভিযোগে সরব হয় বাগরোল গ্রামের মানুষও।
অভিযোগ পেতেই নড়েচড়ে বসে ভূমি সংস্কার দফতর। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে দ্রুত ওই এলাকায় পুনরায় পুকুর খননের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের করা মনোভাবে খুশি এলাকার মানুষ। অভিযুক্ত মালিক পক্ষের দাবি, নথিপথে জায়গাটি পুকুর বলে উল্লেখ থাকলেও তিনি যখন এই জায়গাটি কেনেন সেখানে পুকুরের অস্তিত্ব ছিল না। যদিও এই অভিযোগ গ্রামবাসী ও ভূমি দফতর মানতে নারাজ। তাঁরা চাইছেন পুকুরটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হোক।