রাজ্যের খবর

‘ট্রেলার দেখালাম……., নতুন বছরে সিনেমা দেখাবো’, কেন এমন বললেন শুভেন্দু?

'I saw the trailer...., I will show the movie in the new year', why did Shuvendu say this?

Truth Of Bengal: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বাঙালি সত্তার গভীরে গিয়ে সৌর্হাদ্র্যের বার্তা দিচ্ছেন, তখন বিরোধী দলনেতা যেন সেকথায় কান দিতে নারাজ। কূটনৈতিক সম্পর্ক, বৈদেশিক নীতি নির্ধারণের মতো বিষয় যেখানে পররাষ্ট্র দফতরের অধীন, সেখানে সমস্ত বিরোধী শিবির সংযতও দেশের স্বার্থ বজায় রেখে বুঝেসুঝে চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথেই অন্যান্য দলের নেতারাও সংসদে জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্র যে পথে চলবে তাকে সমর্থন করবে বিরোধীরা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর কন্ঠে শোনা গেল বিতর্কিত মন্তব্য়।

এদিন বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু বলেন, ‘পেট্রাপোলের পর ঘোজাডাঙায় ট্রেলার দেখালাম, মন্দির ভাঙা বন্ধ না করলে, চিন্ময়প্রভুকে মুক্তি না দিলে বা জেহাদিদের আওয়াজ বন্ধ না হলে নতুন বছরে সিনেমা দেখাবো।’ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে বিরোধী দলনেতা কেন এই ধরণের কথা বলছেন, তাই নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। বাংলাদেশের পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্র যে নীতি নেবে তাঁকে বিজেপি সমর্থন করুক। অহেতুক বেফাঁস বা উস্কানিমূলক মন্তব্য এখন বাঞ্চনীয় নয় বলে সীমান্তের মানুষও মনে করছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নিয়ে উস্কানি না দেওয়ার জন্য সবদলের কাছে আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বিশেষ করে ভুয়ো ভিডিয়ো না ছড়ানোর আবেদন করেন প্রশাসনিক প্রধান। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনের ২৪ঘন্টার মধ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সীমান্তে  গিয়ে  উস্কানিমূলক মন্তব্য  করেন। তাতে পরিস্থিতি ঘোরালো হতে পারে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।

কোনও দেশেই সংখ্যালঘু নিপীড়ন সমর্থনযোগ্য নয়। বাংলাদেশে সম্প্রতি সাংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেন, বাংলাদেশের ঘটনা কেউ  ভালো চোখে দেখছে না। দাঙ্গা কখনও হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টানরা করে না। দাঙ্গা করে সমাজবিরোধীরা, যারা সমাজের বোঝা। তাই বাঙালি সমাজের শিকড়ের সংস্কৃতিও সুসম্পর্কের মেলবন্ধনের কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেন, কেউ কোনও প্ররোচনা ছড়াবেন না। সে জায়গায় দাড়িঁয়ে শুভেন্দুর এমন কথায় নানা প্রশ্ন উঠছে।

Related Articles