‘অপমান করার কথা ভাবতে পারিনা’, চিঠিতে ক্ষমা চেয়ে আর আর কী বললেন অনুব্রত?
'I can't imagine insulting you', what else did Anubrata say in the apology letter?

Truth Of Bengal: দল বেঁধে দিয়েছিল নির্দিষ্ট সময়। সেই সময় অনুযায়ীই ৪ ঘণ্টার মধ্যেই চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন অনুব্রত। বোলপুরের আইসি লিটনকে খারাপ ভাষায় আক্রমন করার জেরে তাঁকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল তৃণমূল। এবার সেই নির্দেশানুযায়ী তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।
শুক্রবার দলের নির্দেশ পাওয়ার পর দাপুটে নেতা লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ পুলিশকর্মী থেকে একজন বড় অফিসার সবাই দিদির কাছের মানুষ। তাদের অপমান করার কথা ভাবতে পারিনা। সাম্প্রতিক ঘটনায় আমি দুঃখিত। দিদির পুলিশের কাছে আমি একবার কেন, ১০০ বার ক্ষমা চাইতে পারি। আসলে আমি নানা রকম ওষুধ খায় এবং দিদির পুলিশের বিরুদ্ধে কেউ কোনও অভিযোগ করলে মাথা গরম হয়ে যায়। সত্যি আমি দুঃখিত। কিন্তু আপনাদের ভাবতে হবে তিনটি মহকুমা বোলপুর, সিউড়ি, রামপুরহাটে বিশাল মানুষের মহামিছিল দেখে কারা ভয় পেল? বিজেপি কিকরে আমার আর আমাদের বোলপুরের আইসিকে গালমন্দর ফুটেজ পেল? কে দিল? কোন চক্রান্ত নেই তো?’ চিঠির শেষাংশে তাঁর বক্তব্য, ‘তবুও আমি বলছি কোনও পুলিশ বন্ধু আমাকে ভুল বুঝলে আমি দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।’
প্রসঙ্গত, বোলপুরের আইসি লিটন হালদারকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। বিষয়টি দল একেবারেই ভালভাবে নেয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলকে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। যে ধরনের ভাষায় আক্রমণ করেছেন অনুব্রত মণ্ডল তা কোনভাবেই সমর্থন করছে না তৃণমূল কংগ্রেস। ক্ষমা না চাইলে শোকজ করা হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। জানিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, বীরভূমের বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেছেন অনুব্রত মণ্ডল! ক্ষমতা দেখিয়ে পুলিশ আধিকারিককে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি, এমনই অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে হুমকি-সহ আইসির ওপর চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগও উঠেছে দাপুটে নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।