
The Truth of Bengal: আজ সব কিছুতে কত বিবর্তন হয়েছে। কিন্তু, মাটি দিয়ে নানা জিনিস বানান যারা, তাঁদের পেশায় কোনও বিবর্তন আসেনি। মাটির তৈরি জিনিস তৈরি ওদের পেশা। সেইসব সামগ্রী বিক্রি করে চলে সংসার। তবে এখন কুমোরদের তৈরি করা জিনিসের আদলে এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে প্লাস্টিকের নানা সামগ্রী। ফলে বিক্রি কমেছে। এখন আর আগের মতো আয় হচ্ছে না। টান পড়েছে রুজি-রোজগারে।
ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের নয়াগাঁ গ্রামে বাস করে ১০০ থেকে ১৫০টি কুম্ভকার পরিবার। কোনওরকমে টিকিয়ে রেখেছেন ব্যবসা। বাজারে এখন বেড়েই চলেছে প্লাস্টিক, অ্যালুমিনিয়ামের জিনিসপত্রের বিক্রি ও তার ব্যবহার। তাই মাটির তৈরি জিনিসপত্রের ব্যাবহার কমেছে। কমেছে বিক্রির হার। এর ফলে মাথায় হাত পড়েছে তাদের। উন্মুক্ত বাজার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে হারিয়ে যেতে বসেছে মৃৎশিল্প।
অত্যাধুনিক প্লাস্টিক, ফাইবার, অ্যালুমোনিয়াম এর দাপটে মাটির শিল্প আজ প্রায় বিলুপ্ত। মৃৎশিল্পীদের জীবনে নেমে এসেছে অর্থাভাব। পেটের তাগিদে তারা এখন অনেকেই অন্য পেশায় যুক্ত হয়েছেন। অরণ্য ঘেরা ঝাড়গ্রামে বহু মানুষ মাটির তৈরি সামগ্রী বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু আজ তারা সমস্যায় আছেন। প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি। তবে মানুষ সচেতন হয়ে প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করলে সুদিইন ফিরতে পারে মৃৎশিল্পীদের। সেই আশায় দিন গুনছেন মৃৎশিল্পীরা।