অয্যোধা পাহাড়ে খুশির হাওয়া! মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে নবম স্থানের অধিকারী পুরুলিয়ার অরিত্রী
Happiness is in the air in Ayodhya Hills! Aritri from Purulia ranks 9th in the state in Madhyamik

Truth of Bengal: নয়ন কুইরী, পুরুলিয়াঃ ৬৮৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মধ্যে নবম স্থান অধিকার করেছে অরিত্রী মন্ডল। বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী। তার বাড়ি পুরুলিয়ার অয্যোধা পাহাড়ের কোলে থাকা আড়ষা ব্লকের প্রত্যন্ত সিরকাবাদ গ্ৰামে। অরিত্রী জন্ম লগ্ন থেকে বাঁকুড়া থাকেন পড়াশোনা বাঁকুড়া থেকে। অরিত্রী মন্ডলের বাবা পরীক্ষিত মন্ডল একজন বাঁকুড়া হিন্দু হাই স্কুলের ইকোনমিক্স বিভাগের শিক্ষক। অরিত্রী মন্ডলের মা কবিতা মন্ডল ছাতনা বাসুদেব বিদ্যামন্দির ফ্যাজিকস। অরিত্র মন্ডল বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। অরিত্রী মন্ডল এর গ্রামের বাড়ি পুরুলিয়ার আড়ষা ব্লকের সিরকাবাদ গ্ৰামে। চাকরির সূত্রে বাবা-মার সঙ্গে থাকতেন। সেখানে এ বাঁকুড়ায় জন্মগ্রহণ থেকে পড়াশুনা করেন মাধ্যমিকের নবম স্থান অধিকার করেছে।
এই প্রসঙ্গে, অরিত্রী মন্ডল এর সঙ্গে ফোনে কথা বলে জানতে পারলাম,অরিত্রী মন্ডল বলেন, রাজ্যে নবম স্থান অধিকার করেছি। বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুলে দ্বিতীয় হয়েছি। বাবা ও মা থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা প্রত্যেকেই সহযোগিতা করেছেন। আমি যদি কোন বিষয়ে জানতে পারতাম তাহলে শিক্ষিক শিক্ষিকারা আমাকে সেই বিষয়ে সমস্ত কিছুই বুঝিয়ে দিয়েছেন। এবং এছাড়া আগামী দিনে সে একজন চিকিৎসক হতে চান ।
এই প্রসঙ্গে অরিত্রী বাবা পরীক্ষিত মন্ডল জানান, “অরিত্রি মন্ডল আমার একমাত্র সন্তান। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনায় খুবই আগ্রহী। আমি একজন শিক্ষক ও তার মা ও শিক্ষিকা আমরা দুজনেই ব্যাপক সহযোগিতা করেছি। মা কাছ থেকে সে অনেক সহযোগিতা পেয়েছে। মেয়ে চিকিৎসক হতে চাইছে। শুনে খুব খুশি হলাম।”
এই প্রসঙ্গে অরিত্রির ঠাকুমা লক্ষ্মী মণ্ডল জানান, “আমার নাতনি অরিত্রীর মন্ডল আজকে শুনলাম রাজ্যে নবম হয়েছে মাধ্যমিকে। আমি খুব খুশি হয়েছি। আমরা সহ পরিবার খুব খুশি। অরিত্রি ঠাকুমা বলেন আমার চার ছেলে। তার মধ্যে বড় ছেলের মেয়ে অরিত্রি। চাকরী সূত্রে আমার বড় ছেলে পরীক্ষিত ও বৌমা কবিতা মন্ডল বাঁকুড়াতেই থাকেন। আজকে আমরা খুব খুশি হয়েছি। সামনে থেকে মিষ্টি খাওয়াতে পারলাম না নাতনি অরিত্রকে কারন আমরা পুরুলিয়ার সিরকাবাদ গ্রামে থাকি আমাদের গ্রামের বাড়িতে। তাই আজকে যেতে পারলাম না নাতনি অরিত্রি কাছে তাই ভিডিও কলে মিষ্টি খাওয়ালাম সপরিবারে।”